Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Indian Railways

ট্রেন চালকদের ‘স্বাচ্ছন্দ্য’ প্রচারে তৎপর রেল

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস-সহ সাম্প্রতিক অতীতের একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকদের বিশ্রাম না পাওয়া, কাজের অনিয়মিত সময় এবং দায়িত্ব ভাগের পদ্ধতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে।

—প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০২৪ ০৮:১১
Share: Save:

মোদী সরকারের আমলে ট্রেন চালকদের বিশ্রাম দেওয়া হয় না বলে অভিযোগ ওঠায় অস্বস্তিতে পড়েছে রেল। ভাবমূর্তি মেরামতে তৎপর হয়ে চালকদের তারা কতটা আরাম এবং স্বাচ্ছন্দ্যে রাখে, তার প্রচারে নামল।

কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস-সহ সাম্প্রতিক অতীতের একাধিক ট্রেন দুর্ঘটনায় চালকদের বিশ্রাম না পাওয়া, কাজের অনিয়মিত সময় এবং দায়িত্ব ভাগের পদ্ধতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক আগে রেলের লোকো চালক এবং সহকারী চালকদের একাংশ নয়াদিল্লি স্টেশনে লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীকে বিশ্রাম না পাওয়ার কথা জানান। তার জবাব দিতেই এ বার জোন বা আঞ্চলিক স্তর থেকে পাল্টা প্রচারে নামল রেল।

সোমবার পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব রেল এবং মেট্রো রেল তাদের ট্রেন চালকদের জন্য ক্রু লবি এবং রানিং রুমে কী ধরনের ‘স্বাচ্ছন্দ্য’ দেয়, তা সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরা হয়। তবে সারা দেশেই কাজ শুরুর আগে রানিং রুমে চালকদের তারকা হোটেলের মতো ‘আরামে’ রাখার বিষয়টি নিয়ে রেলের প্রচারের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। জানানো হয়েছে পূর্ব রেলের শিয়ালদহে বাতানুকূল কামরা, উন্নত বিছানা, ক্যান্টিন, ফুট ম্যাসাজের ব্যবস্থার কথা। রেলের তরফে জারি করা বিবৃতিতে ওই স্বাচ্ছন্দ্যকে পাঁচ তারা হোটেলের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব রেল জানিয়েছে, তাদের আন্দুল লবিতে রয়েছে লোকো পাইলটদের দুই তারা হোটেলের মতো স্বাচ্ছন্দ্য। কলকাতা মেট্রোতেও বাতানুকূল ক্রু লবির ব্যবস্থা আছে বলে দাবি করা হয়েছে। যদিও, চালকদের সূত্র বলছে, রানিং রুম রক্ষণাবেক্ষণের জন্য চালক, সহকারী চালক এবং গার্ডদের বেতন থেকে প্রতি মাসে টাকা কেটে নেওয়া হয়। গত কয়েক বছরে কিছু রানিং রুমের অবস্থা উন্নত হলেও, বহু জায়গাতেই পরিকাঠামো অপ্রতুল। চাহিদার তুলনায় ঘরের সংখ্যা কম বহু জায়গায়। ফলে অনেক সময় বসার ঘরে কাটাতে হয় বলেও অভিযোগ।

পূর্ব রেলের মেন্স কংগ্রেসের সভাপতি বিনোদ শর্মার প্রশ্ন, ‘‘চালক এবং সহকারী চালকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় কম, সেটা ওঁরা বলছেন না কেন ?’’ পূর্ব রেলের মেন্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অমিত ঘোষ বলেন, ‘‘রানিং রুমে চালকেরা দু’টি ডিউটির মধ্যেকার সময়ে থাকেন। ওটাকে তাঁদের বিশ্রামের জায়গা বলা ঠিক নয়। আসল সত্যি আড়াল করছে রেল।’’ চালকদের সূত্র জানাচ্ছে, হামেশাই নানাবিধ প্রতিকূল আবহাওয়ায় ট্রেন চালাতে হয়। চার ঘণ্টা বা তার বেশি সময় শৌচাগার ব্যবহারেরও সুযোগ মেলে না। টানা তিন দিন বা তার বেশি সময় রাতে কাজ করার পরিস্থিতিও তৈরি হয় মাঝেমধ্যেই। কাজ সেরে বাড়ি ফিরে আবার অন্য কোথাও ডিউটি ধরার জন্য ছুটতে গিয়ে বিশ্রামের সময় অনেকটা কমে যায়। তাঁদের অভিযোগ, রানিং রুমের আপাত স্বাচ্ছন্দ্য দেখিয়ে হাজারো খামতি আড়াল করছে রেল।

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railways train
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy