—প্রতীকী ছবি।
উৎসবের মরসুমে শুধুমাত্র টিকিট বিক্রি থেকে ঘরে এসেছে ১২ হাজার কোটি টাকা! তৃণমূল সাংসদ মালা রায়ের লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ বার লোকসভায় সেই তথ্য তুলে ধরলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। পাশাপাশি যাত্রী পরিবহণের পরিসংখ্যানও দিয়েছেন তিনি।
লোকসভায় পেশ করা তথ্যে এ বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়কালকে উৎসবের মরসুম হিসাবে চিহ্নিত করেছে রেল। এই সময়সীমার মধ্যে দেশ জুড়ে পালিত হয়েছে গণেশ চতুর্থী, দশেরা এবং দীপাবলি। এই দু’মাসে টিকিট বিক্রি থেকে রেলের আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২,১৫৯.৩৫ কোটি।
লোকসভায় রেলমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ নভেম্বরের পর্যন্ত দূরপাল্লার ট্রেনে যাতায়াত করেছেন ১৪৩.৭১ কোটি যাত্রী। এর মধ্যে রেলের কেন্দ্রীয় জ়োনের যাত্রী সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। ওই জ়োনে যাতায়াত করেছেন ৩১.৬৩ কোটি জন।’’
যাত্রীসংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে পশ্চিম এবং পূর্ব রেল। এই দুই জোনে যাত্রী সংখ্যা ছিল ২৬.১৩ এবং ২৪.৬৭ কোটি। উৎসবের সময়ে সবচেয়ে কম যাত্রী চলাচল করেছেন দক্ষিণ পূর্ব কেন্দ্রীয় রেলে। সেখানে পা পড়েছে মাত্র ১.৪৮ জন রেলযাত্রীর।
ভিড় সামলাতে ১ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৭ হাজার ৬৬৩টি বিশেষ ট্রেন চালাচ্ছে রেল। গত বছরের তুলনায় এই সংখ্যা ৭৩ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের উৎসবের মরসুমে ৪ হাজার ৪২৯টি অতিরিক্ত বিশেষ ট্রেন চালিয়েছিল রেল।
এ বছরের ২৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বরের মধ্যে দীপাবলি ও ছটের সময়ে শহরতলির বাইরের রেলযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯৫৭.২৪ লক্ষ। গত বছরের তুলনায় এই অঙ্ক ৩৩.৯১ লক্ষ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৩ সালে ছট ও দীপাবলির সময়ে শহরের বাইরের রেলযাত্রীর সংখ্যা ছিল ৯২৩.৩৩ লক্ষ।
মন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ৪ নভেম্বর সংরক্ষিত এবং অসংরক্ষিত যাত্রীর সংখ্যা ছিল সর্বাধিক। ওই দিন নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছতে রেলপথ ব্যবহার করছেন ১.২ কোটি মানুষ। এর মধ্যে সংরক্ষিত যাত্রীর সংখ্যা ছিল ১৯.৪৩ লক্ষ। আর শহরতলির বাইরের অসংরক্ষিত যাত্রীসংখ্যা ১.০১ কোটিতে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy