গত দু'বছরে কাজ খোয়া গিয়েছে আড়াই লক্ষ মানুষের। গ্রাফিক্স: তিয়াসা দাস।
ভারতের বাজারে অনলাইন ব্যবসা এবং চিনা কোম্পানির বাড়বাড়ন্ত বেশ কয়েক বছর ধরেই। তার জেরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে মোবাইল বিক্রির প্রচুর দোকান। ফলে, ভারতে মোবাইল ব্যবসার দুনিয়ায় গত দু’বছরে কাজ খোয়া গিয়েছে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের। এমনটাই জানিয়েছেন এই ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত পাইকারি ও খুচরো বিক্রেতারা। মোবাইল প্রস্তুতকারী ভারতীয় কোম্পানিগুলো তাঁদের বক্তব্যকে সমর্থন করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, ভারতে এর আগে ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ মোবাইল বিক্রির দোকান ছিল। এক একটা দোকানে গড়ে ৩ থেকে ৫ জন কাজ করতেন। তাঁদের অধিকাংশই কাজ হারিয়েছেন বলে দাবি।
ইন্ডিয়ান সেলুলার এবং ইলেক্ট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পঙ্কজ মহীন্দ্র জানিয়েছেন যে, বিগত দু’বছরে বিভিন্ন দোকান বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে এবং ডিস্ট্রিবিউশন চেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় প্রায় আড়াই লাখ মানুষের কাজ গিয়েছে। ওই তালিকা থেকে বাদ পড়েননি ম্যানুফ্যাকচার কোম্পানির কর্মীরাও। খুচরো বিক্রেতা এবং ডিস্ট্রিবিউশনেই সব থেকে বেশি প্রভাব পড়েছে।
২০১৮-য় ভারতে বেকারের সংখ্যা ছিল ৬.১ শতাংশ। ২০১৯-এর জুলাই পর্যন্ত সেই সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৬.৮ শতাংশে। মোবাইল ব্যবসার দুনিয়ায় বেশির ভাগ মানুষের কাজ চলে যাওয়া এর একটি মূল কারণ বলে মনে করছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
আরও পড়ুন:১৫ দিন নয় এ বার ৭ দিনেই বন্ধ হয়ে যাবে ইনকামিং কল
অল ইন্ডিয়া রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বর্তমানে লোকজন দোকান থেকে জিনিস কেনার পরিবর্তে অনলাইনে মোবাইল কেনার দিকে বেশি ঝুঁকে পড়েছেন। এখন আর কেউই বাড়ি থেকে বেরিয়ে দোকানে গিয়ে মোবাইল কিনতে আগ্রহী নয়। অল ইন্ডিয়া রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জাতীয় সভাপতি অরবিন্দ খুরানা জানিয়েছেন, অনলাইন শপিংয়ের কারণেই বিভিন্ন কোম্পানি তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছে। প্রতিটি শোরুমে আগে যে পরিমাণ লোক দেখা যেত, তা দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। খুরানা আরও জানিয়েছেন যে, আগে যেখানে বাজারে ১০-১১টা কোম্পানির শোরুম দেখা যেত, এখন তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫-৬ টায়। বর্তমানে কয়েকটি লিডিং ব্রান্ডের শোরুম দেখা গেলেও সেখানে অল্প কয়েক জন কর্মীই দেখা যায়। বর্তমানে ভারতের মোবাইল বাজারের প্রায় ৭৫ শতাংশ রয়েছে চিনা কোম্পানিগুলির হাতে।
আরও পড়ুন:'মোশন সেন্স' এবং ফেস আনলকের ফিচার নিয়ে আসছে গুগল পিক্সেল ৪
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy