—প্রতীকী চিত্র।
বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ সস্তার পাট ভারতের বাজারে ঢোকায় সমস্যায় পড়েছেন পাট সরবরাহকারী (জুট বেলার্স, অর্থাৎ যাঁরা কাঁচা পাট কিনে গাঁটি বেঁধে চটকলগুলিকে বিক্রি করে) এবং চাষিরা। জুট বেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, এতে সরবরাহকারীরা মার খাচ্ছেন। সব থেকে বেশি বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। সমাধানের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়ে কেন্দ্রীয় বস্ত্রমন্ত্রী গিরিরাজ সিংহকে চিঠি দিয়েছে পাট সরবরাহকারীদের ওই সংগঠনটি।
সংগঠনের দাবি, চটকল মালিকদের অনেকেই বাংলাদেশ থেকে সস্তার পাট আমদানি করে খরচ কমাচ্ছে। পাট সরবরাহকারীদের একাংশও এতে শামিল হয়ে মদত দিচ্ছে। এর ফলে সব থেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন পাট চাষিরা। খোলা বাজারে পাটের দাম সরকার ঘোষিত ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের (এমএসপি) থেকেও নেমে গিয়েছে। চলতি বছরের এমএসপি কুইন্টাল প্রতি ৫৩৩৫ টাকা। তারকেশ্বরের পাট চাষি রবীন্দ্রনাথ প্রামানিক বলেন, “খোলা বাজারে এখন এক কুইন্টাল পাট বিক্রি করে পাওয়া যাচ্ছে ৫০০০ টাকা। এই পরিস্থিতিতে জুট কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া (জেসিআই) আমাদের কাছ থেকে এমএসপিতে তা না কিনলে চরম লোকসানের মুখে পড়ব।’’
প্রসঙ্গত, ন্যূনতম সহায়ক মূল্যে চাষিদের থেকে পাট কেনার দায়িত্ব জেসিআইয়েরই। তার জেনারেল ম্যানেজার কল্যাণ মজুমদারের দাবি, “আমরা চাই না চাষিরা কম দামে পাট বিক্রি করে লোকসান করুন। বিভিন্ন মান্ডির কাছেই এমএসপিতে তাঁদের পণ্য কেনার জন্য জেসিআইয়ের কেন্দ্র রয়েছে। ‘পাট মিত্র’ অ্যাপ ডাউনলোড করে নিলে আমাদের কেন্দ্রের ঠিকানা পেয়ে যাবেন চাষিরা।’’ জুট কমিশনার মলয়চন্দন চক্রবর্তীও জানান, “বাংলাদেশ থেকে পাট আমদানির অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখছি। প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy