প্রতীকী ছবি।
অবশেষে কোভিডের ধাক্কায় মন্দা কাটিয়ে ধনাত্মক বৃদ্ধির পথে ফিরল ভারতীয় অর্থনীতি। শুক্রবার জাতীয় পরিসংখ্যান দফতর(এনএসও)জানাল, ২০২০-২১ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট (জিডিপি) বা মোট জাতীয় উৎপাদন ০.৪ শতাংশ। কোভিড সংক্রমণ এবং দেশব্যাপী লকডাউনের জেরে গত ২টি ত্রৈমাসিকে তলানিতে চলে গিয়েছিল। তাই শেষ দু’টি ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার বাড়লেও পুরো অর্থবর্ষের জিডিপি ৮ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এনএসও।
দেশে করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশব্যাপী সম্পূর্ণ লকডাউন শুরু হয়েছিল ২৫ মার্চ থেকে। টানা ৭৮ দিনের লকডাউনের পর ধীরে ধীরে শুরু হয়েছিল আনলক পর্ব। লকডাউনের জেরে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক (এপ্রিল, মে, জুন)-এ জিডিপি সঙ্কুচিত হয়েছিল অর্থাৎ ঋণাত্মক বৃদ্ধি হয়েছিল ২৩.৯ শতাংশ। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়ে সঙ্কুচিত হয়েছিল ৭.৩ শতাংশ। অর্থনীতির ভাষায় পর পর ২টি ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার নেগেটিভ বা ঋণাত্মক হলে ‘মন্দা’ ঘোষিত হয়।
সেই ঋণাত্মক বৃদ্ধি কাটিয়ে এ বার পজিটিভ হল জিডিপি। তৃতীয় ত্রৈমাসিক (অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বর)-এ জিডিপি বৃদ্ধির হার ০.৪ শতাংশ বলে জানাল এনএসও। ডিসেম্বরে শেষ হওয়া ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধি ০.৫ শতাংশ হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিল বিশ্বের ৫৮ জন প্রখ্যাত অর্থনীতিবিদ এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত সংবাদ সংস্থা ‘রয়টার্স’-এর একটি প্যানেল। এ ছাড়া বিভিন্ন সমীক্ষাকারী সংস্থাও পজিটিভ বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের প্রকাশিত বিভিন্ন ক্ষেত্রের সূচক বৃদ্ধিতেও গতি এসেছে। জানুয়ারিতে পরিকাঠামো ক্ষেত্রের ৮টি সূচকের মিলিত বৃদ্ধি গত বছরের জানুয়ারির তুলনায় ০.১ শতাংশ বেড়েছে। এমনটাই জানানো হয়েছে শুক্রবারের পরিসংখ্যানে। কয়লা, অপরিশোধিত তেল, বিদ্যুৎ-সহ এই ৮টি ক্ষেত্রেই বৃদ্ধি আশব্যঞ্জক। যদিও এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত এই ক্ষেত্র সঙ্কুচিত হয়েছে।
২০২০-২১ অর্থবর্ষের জিডিপি-র এই শোচনীয় অবস্থা থেকে পরবর্তী আর্থিক বছরে অবশ্য পুরোপুরি ছন্দে ফেরার পূর্বাভাস আগেই দিয়েছে বিভিন্ন সমীক্ষাকারী সংস্থা। আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডারের ভবিষ্যদ্বাণী, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে, ১১.৫ শতাংশ। যদিও ফেব্রুয়ারির গোড়ায় আর্থিক নীতি নির্ধারণ বৈঠকের পর সাংবাদিক বৈঠকে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, তাদের হিসেবে এই হার হতে পারে ১০.৫ শতাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy