Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Indian Economy

চলতি অর্থবর্ষে জিডিপি সঙ্কুচিত হবে ৪.৫%, অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে উদ্বেগ

পাশাপাশি সরকারের রাজস্ব আদায় ৬৮.৯ শতাংশ কমে যাবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

কেন্দ্রের রিপোর্টে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস। প্রতীকী ছবি।

কেন্দ্রের রিপোর্টে জিডিপি সঙ্কোচনের পূর্বাভাস। প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২০ ১৭:৪৮
Share: Save:

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। উহানে প্রথম এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার ছ’মাস পরেও কোনও টিকা আবিষ্কার হয়নি। আনলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অর্থনৈতিক কাজকর্ম শুরু হলেও এখনও আন্তর্জাতিক উড়ান, ট্রেন, মেট্রো চালু হয়নি। সব মিলিয়ে অর্থনীতির উপর চাপ রয়েছেই। তাই চলতি অর্থবর্ষে ভারতের গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট বা জিডিপি ৪.৫ শতাংশ সঙ্কুচিত হবে বলে জানাল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক। সোমবার অর্থমন্ত্রকের তরফে একটি প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এই দাবির পাশাপাশি বলা হয়েছে, সরকারের রাজস্ব আদায় কমে যাবে প্রায় ৬৯ শতাংশ।

করোনাভাইরাসের আক্রমণের জেরে চাহিদা ও জোগানের মধ্যে সামঞ্জস্য না থাকায় জিডিপির এই সঙ্কোচন হবে বলে সোমবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক থেকে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে। তবে সরকারের সংস্কারমুখী ও সমাজকল্যাণমূলক একাধিক পদক্ষেপে অর্থনীতি ফের ঘুরে দাঁড়াবে বলেও আশা প্রকাশ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই সময়ের নেওয়া পদক্ষেপগুলি ভবিষ্যতে কাজে আসবে।

আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডার (আইএমএফ) আগেই পূর্বাভাস দিয়েছিল ভারতের জিডিপি চলতি অর্থবর্ষে ৪.৫ শতাংশ কমে যেতে পারে বা সঙ্কুচিত হতে পারে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অব ইকনমিক অ্যাফেয়ার্স (ডিইএ)-এর তৈরি জুন মাসের আর্থিক সমীক্ষার রিপোর্ট সোমবারই প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টেও একই শঙ্কার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভাঙতে লকডাউনের জেরে সরকার ও দেশবাসীর আয় তলানিতে ঠেকেছিল। সেই সময় মানুষের হাতে খরচ করার মতো টাকা ছিল না। কেন্দ্রের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই সময় ‘আত্মনির্ভর ভারত অভিযান’ প্রকল্পে ২০ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাতে আর্থিক সঙ্কট থেকে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হয়েছে। রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘‘কোভিড পূর্ববর্তী সময়ের পরিস্থিতি থেকে পুরোপুরি আনলক হয়ে গেলে অর্থনীতিতে সংস্কার প্রয়োজন হবে এবং এখনকার এই পদক্ষেপগুলি সেই সময় কাজে আসবে।’’

আরও পড়ুন: গালওয়ান থেকে সেনা সরাচ্ছে চিন, তৈরি হল বাফার জোন

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেশে ছড়িয়ে পড়ার আগে থেকেই অর্থনীতির ঝিমুনি চলছিল। মার্চ শেষ থেকে শুরু করে চার দফায় প্রায় আড়াই মাস লকডাউনের জেরে আর্থিক কর্মকাণ্ড স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। ফলে সরকারের আয় নেমে গিয়েছিল তলানিতে। জুনের শুরু থেকে এক মাস ধরে ধীরে ধীরে আনলকের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে আনলক-২। তবে এখনও পুরোপুরি সচল হয়নি অর্থনীতি। সব মিলিয়ে চলতি অর্থবর্ষে সরকারের রাজস্ব আদায় ৬৮.৯ শতাংশ কমে যাবে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ২৪২৪৮, সংক্রমণে রাশিয়াকে টপকে বিশ্বে তৃতীয় ভারত

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এবং লকডাউনে যে অর্থনীতির সব ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, এমন নয়। কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় থেকেই আমদানি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ। আবার আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামেও রেকর্ড পতন হয়েছে। ফলে দুই ক্ষেত্রেই রাজকোষ থেকে কম অর্থ খরচ হয়েছে সরকারের। তা ছাড়া কেন্দ্র ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক আগে থেকেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার আন্দাজ করতে পারায় সঠিক পদক্ষেপ করা গিয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে রিপোর্টে।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Lockdown GDP Indian Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy