প্রতীকী ছবি।
আন্তর্জাতিক বাজারে ভারতের পেট্রোপণ্য, ইঞ্জিনিয়ারিং, গয়না রফতানির চাকা ঢিমে তালে ছুটছে এ বছর অগস্ট থেকেই। দেশের শ্রম নিবিড় যে সমস্ত শিল্প ক্ষেত্র রফতানির উপর অনেকটাই নির্ভর করে, সেগুলির বৃদ্ধিও নানা কারণে ধাক্কা খেয়ে কার্যত নিম্নমুখী। এর মধ্যে রয়েছে কার্পেট, তৈরি পোশাক, হ্যান্ডলুম, চর্মপণ্য। এই পরিস্থিতিতে রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশন্স (ফিয়ো) সোমবার জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তার বাতাবরণ এবং বাণিজ্যে রক্ষণশীলতা বৃদ্ধির কারণে চলতি অর্থবর্ষে দেশের রফতানি ব্যবসা ৩৩,০০০ থেকে ৩৪,০০০ কোটি ডলারে আটকে থাকতে পারে। এ বছর এপ্রিল-নভেম্বরে ভারতের রফতানি ইতিমধ্যেই ২% কমেছে।
ফিয়োর সভাপতি শরদকুমার শরাফ মনে করছেন, ২০২০ সালের মাঝামাঝি থেকে বিশ্ব বাজারের পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আগামী অর্থবর্ষে রফতানি ক্ষেত্রের ১৫% বৃদ্ধি হবে বলে তাঁর আশা। পাশাপাশি, সংগঠনের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সহায় জানিয়েছেন, দেশের রফতানি ক্ষেত্রে বৃদ্ধি যে হারে কমেছে, তার উন্নতি হতে পারে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে। তবে দুই কর্তারই ইঙ্গিত, ভারতীয় সংস্থাগুলি উল্লেখযোগ্য হারে রফতানির বরাত পেতে শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, বাণিজ্য সচিব অনুপ ওয়াধওয়ান কিছু দিন আগেই জানিয়েছেন, দেশের রফতানি ক্ষেত্রে শ্লথ গতির এই অবস্থার প্রধান কারণই হচ্ছে বিশ্ব বাজারে পেট্রোপণ্যের চাহিদা কমে যাওয়া। যা দেশের মোট রফতানির ১৩.৪২% দখল করে রয়েছে। পেট্রোপণ্যের দাম পড়ে যাওয়ায় তার বিরূপ প্রভাবে রফতানির অঙ্ককেও নীচে নামিয়ে এনেছে বলেই তিনি মনে করছেন।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) মতে, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে পণ্য কেনাবেচার ব্যবসা এ বছর বড়জোর ১.২% বৃদ্ধি পেতে পারে। এপ্রিলে যেখানে ব্যবসা বৃদ্ধির পূর্বাভাস ছিল ২.৬%। তবে ২০২০ সালে সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে মোট বাণিজ্য বৃদ্ধি ২.৭ শতাংশের ঘরে পৌঁছাতে পারে বলেও তাদের পূর্বাভাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy