—প্রতীকী চিত্র।
গত অর্থবর্ষের প্রথম তিনটি ত্রৈমাসিকে ভারতের জিডিপি কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অনুযায়ী ৮ শতাংশের বেশি হারে বাড়লেও, চতুর্থটিতে (জানুয়ারি-মার্চ) তা ৬.৭ শতাংশের আশেপাশে থাকার ইঙ্গিত দিল মূল্যায়ন সংস্থা ইন্ডিয়া রেটিংস অ্যান্ড রিসার্চ। শুধু তা-ই নয়, রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের পূর্বাভাস গত অর্থবর্ষে আর্থিক বৃদ্ধি হবে ৭.৬%। কিন্তু ইন্ডিয়া রেটিংসের মুখ্য অর্থনীতিবিদ সুনীল কুমার সিন্হার হিসাবে তা হতে পারে ৬.৯-৭ শতাংশ। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দু’ক্ষেত্রেই বৃদ্ধির অনুমান প্রত্যাশার থেকে কম। সম্প্রতি কেন্দ্রের মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন পুরো অর্থবর্ষে ৮% বৃদ্ধির সম্ভাবনা আছে বলেও দাবি করেছিলেন।
গত বছরের এপ্রিল-জুন, জুলাই-সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর-ডিসেম্বর ত্রৈমাসিকে আর্থিক বৃদ্ধি হয়েছিল যথাক্রমে ৮.২%, ৮.১% এবং ৮.৪%। সিন্হার বক্তব্য, প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকে নিচু ভিতের উপর দাঁড়িয়ে হিসাব করার সুবিধা ওই হারকে ৮ শতাংশের উপরে ঠেলে তোলে। তবে তৃতীয় ত্রৈমাসিকের হার বিস্ময়কর। উল্লেখযোগ্য বিষয় জিডিপি (গ্রস ডোমেস্টিক প্রোডাক্ট) এবং জিভিএ-র (গ্রস ভ্যালু অ্যাডেড) ফারাকও। তাঁর দাবি, চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এই সমস্ত সুবিধা পাওয়া যাবে না। তাই বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৬.৭ শতাংশে। ৩১ মে চতুর্থ ত্রৈমাসিক এবং ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বৃদ্ধির প্রাথমিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করার কথা কেন্দ্রের।
জিডিপি হল আলোচ্য সময়ে উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ও পরিষেবার মোট মূল্য। তার থেকে নিট কর বাদ দিলে যা পাওয়া যায়, সেটাই জিভিএ। সিন্হার কথায়, ‘‘তৃতীয় ত্রৈমাসিকে বিপুল কর সংগ্রহ হয়েছিল। তাতে ভর করে বেড়েছিল জিডিপি। চতুর্থ ত্রৈমাসিকে সেই সম্ভাবনা তেমন নেই। জিডিপি এবং জিভিএ-র তাই স্থূল পার্থক্য থাকবে না।’’ তাঁর ব্যাখ্যা, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে জিভিএ ৬.৫% হলেও কর সংগ্রহ জিডিপিকে ঠেলে ৮.৪ শতাংশে পৌঁছে দিয়েছিল। প্রথম ত্রৈমাসিকে জিভিএ এবং জিডিপি দু’টিই ছিল ৮.২%। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে তা ছিল যথাক্রমে ৭.৭% এবং ৮.১%।
অর্থনীতিবিদের পূর্বাভাস, চলতি অর্থবর্ষে বৃদ্ধি ছুঁতে পারে ৭.১%। তাঁর মতে, গত অর্থবর্ষের প্রথম দু’টি ত্রৈমাসিকে অর্থনীতি গতিশীল ছিল। তার প্রভাব পরের দুই ত্রৈমাসিকেও পড়েছে। চলতি অর্থবর্ষেও তা বজায় থাকার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। নির্মাণ এবং বিদ্যুতে ভর করে পরিষেবা ক্ষেত্র গতিশীল থাকবে। আর পূর্বাভাস অনুযায়ী বর্ষা ভাল হলে বাড়তে পারে গ্রামাঞ্চলের বিক্রিবাটা। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy