—প্রতীকী চিত্র।
বদলে যাওয়া দুনিয়ায় যোগাযোগের নতুন মাধ্যম থাবা বসিয়েছে দেশের ডাক বিভাগের পরিষেবায়। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় তাই টিকে থাকার রসদ পেতে যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে তাদেরও বদলের বার্তা দিলেন। ঠিক যে ভাবে পরিবর্তনের সঙ্গে পা মিলিয়ে চলতে হয় মানুষকে। রাজ্যের ডাক বিভাগের কর্তারা অবশ্য জানাচ্ছেন, শুরু হয়ে গিয়েছে সেই চেষ্টা। পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে গ্রাহকের দরজায় দরজায় চিঠিচাপাটি পৌঁছে দেওয়ার ছবিটা আর দেখা যাবে না। বদলে ডাক পরিষেবা দিতে তাঁদের কর্মীরা এ বার যাবেন বৈদ্যুতিক স্কুটারে চেপে। কলকাতা, হাওড়া ও দুর্গাপুরে শুরুও হয়েছে তার পাইলট প্রকল্প।
মঙ্গলবার ছিল জাতীয় ডাক সপ্তাহের শেষ দিন। এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেল (ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্কল) গৌতম ভট্টাচার্য ও পিএমজি (কলকাতা) অমিতাভ সিংহ জানান, কলকাতার জিপিও, আলিপুর ও টালিগঞ্জের ডাকঘরে আপাতত ১৭টি বৈদ্যুতিক স্কুটারে গ্রাহকদের পরিষেবা দিচ্ছেন কর্মীরা। চলতি অর্থবর্ষে পাইলট প্রকল্পে চলবে ২০০টি স্কুটার।
প্রধান অতিথি শীর্ষেন্দুবাবু বক্তব্য, মোবাইলের দাপটে বিদায় নিয়েছে তার পরিষেবা। মোবাইলের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়া ও কুরিয়র আসায় কিছুটা বেহাল ডাকও। তাঁর কথায়, ‘‘কত মানুষের কত বার্তা বহন করেছে ডাক বিভাগ। শুভ হোক বা অশুভ, কখনও ভাবিনি টেলিগ্রাম উঠে যাবে। এটা নস্টালজিয়া। তখন শিলিগুড়ি থেকে দিনের দিনই কলকাতায় পেতাম বাড়ির চিঠি। এখন অবশ্য অনেক সময়ে নিমন্ত্রণের দিন পেরনোর পরে তা পৌঁছয়।’’ এই প্রেক্ষিতেই ডাক বিভাগকে যুগোপযোগী হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy