প্রতীকী ছবি।
কিছু গাড়ি সংস্থা রাজ্যস্তরে তাদের কারখানা চালুর অনুমতি পেলেও, যন্ত্রাংশের জোগান, কর্মীদের উপস্থিতি ও বিক্রি নিয়ে অনিশ্চয়তায় এখনও গাড়ি তৈরি বন্ধই রেখেছে। এমন অবস্থায় বৃহস্পতিবার এই শিল্পের সঙ্কট নিয়ে সংস্থাকর্তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করলেন কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। জানতে চাইলেন তাদের দুরবস্থা ও দাবি-দাওয়ার কথা। শিল্পমহল সূত্রের খবর, সেখানে সংস্থাগুলি আর্থিক ত্রাণ তো চেয়েছেই। সেই সঙ্গে দাবি করেছে, গাড়ি সংস্থা, যন্ত্রাংশ সংস্থা ও গাড়ি বিক্রির জন্য ডিলারদের সতর্কবিধি মেনে একসঙ্গে কাজ করার ছাড়পত্র দিয়ে, সার্বিক ভাবে এই শিল্পকে ‘স্পেশ্যাল স্টেটাস’ বা বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হোক। কারণ, তিনটি ক্ষেত্রই একসঙ্গে কাজ শুরু না-করলে তাদের আখেরে কোনও লাভ হবে না। তৈরি বা বিক্রি, কোনও দিক দিয়েই নয়।
সূত্রের খবর, সংস্থাগুলির ভাঁড়ারে প্রায় তিন সপ্তাহের গাড়ি জমে। শো-রুম না-খুললে এখনই নতুন গাড়ি তৈরি অর্থহীন। লকডাউন ওঠার পরেও বাজারে গাড়ির চাহিদা বাড়বে কি না, সন্দেহ আছে। অন্য দিকে, যন্ত্রাংশ কারখানাগুলি গোটা দেশেই ছড়িয়ে, যার অনেকগুলি ‘রেড জোনে’। অন্য জায়গার সংস্থা কারখানা চালু করলেও, মাঝপথে আবার তা বন্ধ হয়ে গেলে যন্ত্রাংশ জোগানে অনিশ্চয়তা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে একটি যন্ত্রাংশও অমিল হলে গাড়ি তৈরি অসম্পূর্ণ থাকবে।
গাড়ি সংস্থাগুলির সংগঠন সিয়ামের প্রেসিডেন্ট রাজন ওয়াধেরা, যন্ত্রাংশ সংস্থাগুলির সংগঠন অ্যাকমার প্রেসিডেন্ট দীপক জৈন, মারুতি সুজুকির এমডি-সিইও কেনিচি আয়ুকায়া, মহীন্দ্রার এমডি পবন গোয়েন্কা, হিরোর সিএমডি পবন মুঞ্জল প্রমুখের সঙ্গে এ দিন বৈঠক করেন জাভড়েকর।
বৈঠকের পরে জাভড়েকর বলেন, ‘‘এই শিল্পের চাকা ফের গড়িয়ে এখন এর সঙ্গে যুক্তদের জীবিকা নির্বাহের উপরে জোর দিতে হবে। চাহিদার পাশাপাশি কী ভাবে সম্পদ (ঋণের কথাই মনে করছে শিল্প) জোগাড় করা যায়, তা-ও জানতে চেয়েছি। নগদ ও যন্ত্রাংশের জোগান, জিএসটি হ্রাস, কর্মসংস্থান ও গাড়ি বিক্রিতে সাহায্য করার মতো নানা দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। দিয়েছেন, অনলাইনে বিক্রি, কারখানায় যোগ দেওয়ার আগে কর্মীদের শারীরিক পরীক্ষা-সহ নানা পরামর্শও।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy