আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা এবং জোগান শৃঙ্খল বজায় রাখতে বিকল্প রাস্তা তৈরি— শুল্ক যুদ্ধের বিরূপ প্রভাব এড়াতে এই জোড়া কৌশল নিয়েছে ভারত। বাণিজ্য আলোচনা শুরু করতে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে যেতে পারে ভারতের প্রতিনিধি দল। আজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানান, পোক্ত নীতি এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের মাধ্যমে ‘রক্ষণশীল নীতি’-র প্রভাব এড়ানোর চেষ্টা করছে ভারত।
ভারত-সহ বিভিন্ন দেশের পণ্যে ন্যূনতম ১০% আমদানি শুল্ক কার্যকর করে ৯০ দিনের জন্য অতিরিক্ত শুল্ক স্থগিত রেখেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই সময়ের মধ্যে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি আদৌ কতটা চূড়ান্ত করা যাবে, নিশ্চিত নয় কেউ। তবে আলোচনা চালাতে চাইছে সকলে। অন্তত আংশিক বাণিজ্য চুক্তি সারতে মরিয়া ভারতও। আজ বিএসই-র ১৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক কর্মসূচিতে নির্মলা বলেন, ‘‘টালমাটাল বিশ্ব অর্থনীতির প্রভাব আমরা কাটিয়ে উঠতে পারব শক্তপোক্ত নীতি এবং দীর্ঘমেয়াদি লগ্নির মাধ্যমে। বিশ্ব বাণিজ্য উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে। তবে তাকে নতুন করে গুছিয়ে তোলাও চ্যালেঞ্জের।’’ অর্থমন্ত্রী জানান, ভারতের শেয়ার বাজার ইতিমধ্যেই পরিস্থিতি সামলেছে।
আজ চলতি অর্থবর্ষের ভারতের বৃদ্ধির অনুমান ১০ বেসিস পয়েন্ট ছেঁটে ৬.৪ শতাংশে নামিয়েছে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (এইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা জানান, আমেরিকা ও চিন, দু’পক্ষেরই অভিযোগ রয়েছে। কিন্তু বিশ্ব অর্থনীতির অবস্থা স্বাভাবিক করতে দায়িত্ব নিতে হবে তাদেরই। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের বাণিজ্যশৃঙ্খল মেরামত করতে এই দুই দেশের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছে বাকি দেশগুলি। জাপানের সঙ্গে সরাসরি কথা বলছেন ট্রাম্প। ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি বিশেষ টাস্কফোর্স গড়েছে সিঙ্গাপুর। আর চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া সফরের পরে কম্বোডিয়া পৌঁছেছেন।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)