ফাইল চিত্র।
চলতি মাসের প্রথমার্ধে তেলের চাহিদার বিপুল বৃদ্ধির ছবি উঠে এল শিল্পের পরিসংখ্যানে। এই সময়ে গত বছরের চেয়ে পেট্রল বিক্রি বেড়েছে ৫৪%। ডিজ়েল ৪৮%। শুধু তা-ই নয়, করোনার প্রথম ঢেউয়ের সময়ে ২০২০ সালের জুনের প্রথম ১৫ দিন এবং অতিমারির আগে ২০১৯ সালের এই সময়ের বিক্রির নিরিখেও এ বারের বৃদ্ধি অনেকটাই বেশি। তবে এতে স্বস্তি ফেরার কারণ আছে বলে এখনই মনে করছে না সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ। তাদের মতে, বিক্রি যতটা বেড়েছে সেটা মূলত দেশে কৃষি মরসুম শুরু হওয়ার কারণে। পাশাপাশি, তেলের উৎপাদন শুল্ক ছাঁটাই, আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোদস্তুর চালু হওয়া এবং গত বছরের এই সময়ের কম ভিতের উপরে দাঁড়িয়েও বৃদ্ধি অনেকটা বেশি দেখাচ্ছে।
তা ছাড়া এ বছর তীব্র গ্রীষ্মে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে দেশ জুড়েই। ফলে বহু জায়গাতেই জেনারেটরের প্রয়োজন হচ্ছে, যা চালাতে জ্বালানির প্রয়োজন হয়। সেটাও তেলের চাহিদা কিছুটা বাড়িয়েছে। যে কারণে এই চাহিদা বৃদ্ধিতে এখনই অর্থনীতির সুদিন ফিরছে বলতে নারাজ তারা। এ প্রসঙ্গে রান্নার গ্যাসের বিক্রি সে ভাবে বৃদ্ধি না-পাওয়া এবং বিমান জ্বালানির চাহিদা এখনও করোনার আগের সময়ের চেয়ে কম থাকাকেও তুলে ধরছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, গত বছর মে-জুন মাসে দেশ জুড়ে কররোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছিল। সে সময়ে প্রায় স্তব্ধ ছিল জীবনযাত্রা। বিভিন্ন রাজ্য ছিল বিধিনিষেধের আওতায়। সেই নীচু ভিতের নিরিখে দেখলে এ বারের বৃদ্ধি অর্থনীতির গতি তুলে ধরে না। তার উপরে এ বছরে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেল এবং ভারতে পেট্রল-ডিজ়েল মাত্রা ছাড়িয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মে-র প্রথমে শুল্ক ছাঁটাইয়ের পরে যে পরিমাণ বিক্রি বৃদ্ধির আশা ছিল, ততটা হয়নি। মে মাসের প্রথমার্ধের চেয়ে পেট্রলের বিক্রি বেড়েছে মাত্র ০.৮% এবং ডিজ়েল ১২%। ফলে সে দিক থেকেও এখনই ততটা উচ্ছ্বসিত হওয়ার কারণ নেই।
এ দিকে, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, কর্নাটকের কিছু পেট্রল পাম্পে তেল ফুরিয়ে গিয়েছে বলে সামনে এসেছে। উৎপাদনের থেকে কম দামে তেল বিক্রির ক্ষতি যুঝতে না-পেরে বেসরকারি তেল সংস্থাগুলি পাম্প বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে সূত্রের খবর। ফলে চাপ পড়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলির পাম্পের উপরে। সেখানে চাহিদা মেটানোর আগেই তেল ফুরিয়ে যাচ্ছে। যদিও তেলের জোগানে কোনও ঘাটতি নেই বলেই জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল, ভারত পেট্রোলিয়াম, হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়ামের মতো রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি। তাদের দাবি, জোগান চালু রাখার সব ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy