গো-ফার্স্টে সংস্থা বুধ এবং বৃহস্পতিবার তাদের সমস্ত উড়ান বাতিল করার কথা জানিয়েছিল। প্রতীকী ছবি।
সংস্থা বুধ এবং বৃহস্পতিবার তাদের সমস্ত উড়ান বাতিল করার কথা জানিয়েছিল। তবে মঙ্গলবার নিজেদের কার্যত দেউলিয়া ঘোষণার পরেও দেশের আকাশে পরিষেবা দিতে থাকে ওয়াদিয়া গোষ্ঠীর গো-ফার্স্টের বেশ কয়েকটি বিমান। অভিযোগ উঠেছে, সন্ধ্যায় যাত্রী বোঝাই তাদের তিনটি বিমানকে নিজেদের বিমানবন্দরে নামতে দিতে চায়নি আদানি গোষ্ঠীর মালিকানাধীন মুম্বই বিমানবন্দর (মুম্বই ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট বা মিয়াল)। সংশ্লিষ্ট মহলের অভিযোগ, যে বিমান আকাশে উড়ছে, তাকে নির্দিষ্ট গন্তব্যে নামতে না দেওয়া মানে তো কার্যত যাত্রীদের সুরক্ষা দিতে অস্বীকার করা। বিমান মন্ত্রক সূত্রের খবর, অভিযোগ পেয়ে দেশের বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল এভিয়েশন (ডিজিসিএ) সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে।
বিমান পরিবহণ বিশেষজ্ঞদের অভিযোগ, মিয়াল আঁচ করেছিল দেউলিয়া ঘোষণা করা সংস্থার উড়ানকে নামতে দিলে তাদের কাছ থেকে পার্কিং ফি পাওয়া মুশকিল হবে। এমনকি, সেই বিমান অনির্দিষ্টকালের জন্য বসে গেলে একটি পার্কিং বে আটকেও যেতে পারে। মূলত এই দুই কারণেই তারা গো-ফার্স্টের উড়ানকে নামতে দেয়নি। ডিজিসিএ-র কর্তাদের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে যাত্রীদের নিরাপত্তা অগ্রাধিকার। তদন্তে যদি দেখা যায় সেই নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করা হয়েছে, তা হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার মিয়ালের তরফে মুম্বই এটিসি-কে ঠিক কী নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই তথ্যও চাওয়া হচ্ছে। স্রেফ টাকার জন্য এ ভাবে উড়ান নামতে না দেওয়াকে কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’’ যদিও আদানি গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রাধীন বিমানবন্দরের বিরুদ্ধে কতটা ব্যবস্থা কেন্দ্র নিতে পারবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে অনেকের মনেই।
মিয়ালের তরফে অবশ্য বুধবার জানানো হয়েছে, প্রথমে তিনটি উড়ানকে নামতে না দিলেও পরে সন্ধ্যের মধ্যেই তাদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে মুম্বইয়ে। সেখান থেকে রাতে যাত্রীদের নিয়ে আবার সেই সব উড়ান অন্যত্র উড়ে গিয়েছে। তাদের দাবি, সন্ধ্যায় কিছু সময়ের জন্য অত্যধিক উড়ানের চাপে তাদের রানওয়ে আটকে যাওয়ায় কয়েকটি উড়ানকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেই সময়েই গো-ফার্স্টের উড়ানগুলি নামতে এসেছিল।
সূত্রের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি, বারাণসী এবং শ্রীনগর থেকে মুম্বইয়ে নামতে আসা তিনটি উড়ানকেই মুম্বই এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল জানায় যে তারা সেখানে নামতে পারবে না। তিনটি উড়ানেই সব মিলিয়ে ৩০০-র বেশি যাত্রী ছিলেন। বিমান মন্ত্রকের একটি সূত্রের খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শ্রীনগর-মুম্বই উড়ান মুম্বইয়ের আকাশে পৌঁছে নামার জন্য প্রায় ১৫ মিনিট চক্কর কাটে। নামার অনুমতি না পাওয়ায় সেখান থেকে সেটি আমদাবাদে চলে যায়। অভিযোগ, সেখানেও ওই উড়ানকে নামতে দেওয়া হয়নি। যদিও আমদাবাদ বিমানবন্দর বিমান মন্ত্রকেরই অধীন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পরিচালনাধীন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy