ফ্লিপকার্ট মুদিখানা ডেলিভারি প্রোগ্রাম
২০১৯-এ শুরু হয় ফ্লিপকার্টের মুদিখানা ডেলিভারি প্রোগাম। শুরু থেকেই মনে করা হয়েছিল এটি বহু ছোট এবং খুচরো বিক্রেতাদের জন্য আশির্বাদস্বরূপ হয়ে দাঁড়াবে। কারণ প্রথম থেকেই এই প্রোগ্রাম বিভিন্ন বিক্রেতাদের আয় বাড়াতে সাহায্য করেছে। নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে, ফ্লিপকার্ট ভারতের আধুনিক খুচরো ব্যবসায় বিপ্লব আনতে সক্ষম হয়েছে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শহর ও শহরতলির আরও বেশি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাওয়া থেকে ছোট ছোট ব্যবসাগুলিকে ই-কমার্সের আওতায় নিয়ে আসা, সব ক্ষেত্রেই সফল ফ্লিপকার্ট।
ফ্লিপকার্টের এই মুদিখানা ডেলিভারি প্রোগ্রাম বহু মানুষের জীবনে আশার আলো জুগিয়েছে। আজ আপনাদের সামনে তেমনই কয়েকটি গল্প তুলে ধরব, যা সত্যিই অনুপ্রেব়ণা যোগাবে। এই গল্প জেনি রোজের গল্প। জেনি কলেজ পড়ে। কিছুদিন আগে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় জেনির বাবা-মা'র। তাঁর কাকিমা একটি স্থানীয় মুদির দোকান চালায়। জেনি প্রথম থেকেই চাইছিলেন কোনও না কোনও উপায়ে এই উপার্জন বাড়াতে। কাকিমাকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে। এক বন্ধুর সঙ্গে আলোচনা করে জেনি ফ্লিপকার্টের এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানতে পারেন। এখন, জেনি তাঁর কাকিমার ব্যবসায় পুরোদস্তুর সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে পেরেছেন। এই প্রসঙ্গে জেনির বক্তব্য, “আমি ফ্লিপকার্টের কাছে ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ। কারণ পড়াশুনা চালানোর পাশাপাশি আমি অর্থও উপার্জনেও সক্ষম হয়েছি শুধুমাত্র ফ্লিপকার্টের কারণে।”
আরও একটি গল্প রয়েছে যেটি ছোট খুচরো ব্যবসায়ীদের মন ভাল করে দেবে। গল্পটি চণ্ডিগড়ের শুকবীর সিংহের। লকডাউনের কারণে তাঁর ব্যবসা কমতে থাকে। একদিন হঠাৎ করেই একটি বিজ্ঞাপনে তাঁর চোখ পড়ে। সেখান থেকেই শুকবীর জানতে পারে ফ্লিপকার্টের এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে। আর দেরি না করে সে এই প্রোগ্রামে অন্তর্গত হওয়ার জন্য আবেদন জানায়। বর্তমানে শুকবীর ডেলিভারি করতে যান, তখন তাঁর স্ত্রী দোকান সামলান। বর্তমানে তাঁর উপার্জন প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে।
জেনি ও শুকবীরের মতো কয়েক লক্ষ গ্রাহক ফ্লিপকার্টের এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে তাঁদের স্বপ্নপূরণ করতে পেরেছেন। এই প্রোগ্রাম যে ধরনের সুযোগ তৈরি করেছে, তার কারণে প্রত্যেকের ব্যবসা অভূতপূর্ব ভাবে বেড়েছে। গ্রাহকের সন্তুষ্টি, সময়মতো ডেলিভারি, সঙ্গে অংশীদারদের ইচ্ছেমতো কাজের সময় প্রদান, এই ভাবেই তৈরি হয়েছে ফ্লিপকার্ট।
ফ্লিপকার্টের এই প্রোগ্রামে অংশ নেওয়ার জন্য আপনার কাছে আধার কার্ড, প্যান কার্ড এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। আবেদনের পরেই আপনাকে কয়েকটি সহজ ধাপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। প্রথমে ফ্লিপকার্টের তরফ থেকে একজন বিজনেস ম্যানেজার আপনার দোকানটি ভাল করে খতিয়ে দেখবেন। এর পরে ভেরিফিকেশনের জন্য আপনাকে বেশ কয়েকটি নথি ও তথ্য জমা দিতে হবে। ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষার পরে, আপনাকে ৪দিন ধরে একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যথাযথ প্রশিক্ষণ পেয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করার পরেই গোটা প্রক্রিয়াটি সম্পূর্ণ হবে।
আয় ঠিক কত হবে, তা নিয়ে চিন্তিত হওয়ার প্রয়োজন নেই। উপার্জনের সবটাই মাসে দু’বার আপনার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সরাসরি প্রদান করা হবে। কিছু ইনসেন্টিভ প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি মাসে অতিরিক্ত আয় করতেও সক্ষম হবেন। উৎসবের মরসুমে ফ্লিপকার্টের মুদিখানা ডেলিভারি পার্টনাররা তাঁদের আয় বৃদ্ধি করার চমৎকার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
বর্তমানে প্রায় এক লক্ষেরও বেশি দোকান ফ্লিপকার্টের এই প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত হতে পেরেছে এবং প্রত্যেকে তাদের আয় বাড়িয়ে উদ্ভাবনী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy