—প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরে জিনিসের চড়া দামে নাজেহাল মানুষ। তাকে বাগে আনতে গত বছর থেকে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের টানা ২৫০ বেসিস পয়েন্ট সুদ বৃদ্ধি করলেও সেই পদক্ষেপে যে তেমন কিছু কাজ হয়েছে, এমনটা নয়। মাঝখান থেকে সুদের হার বৃদ্ধির জেরে গৃহঋণের সুদ বিপুল ভাবে বেড়েছে। ঋণের মাসিক কিস্তি (ইএমআই) ২০ শতাংশেরও বেশি চড়ায় চাহিদা থাকলেও মার খাচ্ছে কম দামি ফ্ল্যাটের বাজার। তবে তার মধ্যেও সাধ্যের মধ্যে থাকা বাজার হিসেবে দেশের প্রথম সারির আট শহরের মধ্যে আমদাবাদের পরেই রয়েছে কলকাতা।
এ বছরের প্রথমার্ধে আট শহরের আবাসনে সাধ্য-সূচক প্রকাশ করেছে আবাসন উপদেষ্টা নাইট ফ্র্যাঙ্ক। যা বলছে, আয়ের প্রেক্ষিতে ইএমআইয়ের খরচ বাড়লেও, সেই হিসাবে সাধ্যের মধ্যে থাকা শহর হিসেবে প্রথম স্থানে আমদাবাদ। সেখানে আবাসনের সাধ্য-সূচক ২৩%। অর্থাৎ, গড়ে শহরটির এক জন ঋণগ্রহীতার মাসিক আয়ের ২৩% যায় কিস্তি দিতে। ২৬% নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কলকাতা ও পুণে। মাপকাঠি অনুসারে, যে শহরে এই হার ৫০ শতাংশের বেশি, সেখানের বাজার সাধ্যের বাইরে ধরা হয়। কারণ ব্যাঙ্ক সাধারণত আয় ও কিস্তির অনুপাত তার বেশি হলে ঋণ দিতে চায় না।
রিপোর্ট বলছে, আরবিআই সুদ কমানোয় ২০১০-২০২১ সালের মধ্যে সাধ্য-সূচকের উন্নতি হয়েছিল ওই শহরগুলিতে। অর্থাৎ, কমেছিল আয়ের তুলনায় ইএমআইয়ের খরচ। কিন্তু তার পরে মূল্যবৃদ্ধিতে রাশ টানতে শীর্ষ ব্যাঙ্ক টানা সুদ বাড়ানোয় সূচক গড়ে ২.৫% কমেছে এবং কিস্তির চাপ বেড়েছে ১৪.৪%। তবে উপদেষ্টা সংস্থাটির দাবি, তার পরেও এ বছরে চাহিদা অক্ষুণ্ণ রয়েছে। যদিও আবাসন ক্ষেত্রের একাংশের মতে, ইএমআইয়ের বোঝা বাড়ায় ধাক্কা খেয়েছে কম দামি ফ্ল্যাটের বিক্রি।
সাধ্য-সূচকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মুম্বই (৫৫%)। হায়দরাবাদে (৩১%), রাজধানী সংলগ্ন অঞ্চলে (৩০%), বেঙ্গালুরু ও চেন্নাইয়ে (২৮%)। রিপোর্ট বলছে, গত বছরের থেকে প্রতিটি শহরের সাধ্য-সূচক বেড়েছে। অর্থাৎ, সুদ বৃদ্ধির জেরে আয়ের তুলনায় বেড়েছে কিস্তির খরচ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy