লক্ষ্মীবারে তামায় লক্ষ্মীলাভ! সোনালি চমক দেখিয়ে হু-হু করে বাড়ল সংশ্লিষ্ট ধাতুটির শেয়ারের দাম। ফলে পকেট ভরেছে লগ্নিকারীদের। বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম টন প্রতি ১০ হাজার ডলারে পৌঁছোয়। এর পরই লাফিয়ে লাফিয়ে চড়তে থাকে হিন্দুস্তান কপার লিমিটেডের স্টকের দর। এ দিন একটা সময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির শেয়ার ছ’শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছিল, যা গত পাঁচ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধ হওয়ার পর ২৩১.২০ টাকায় থামে হিন্দুস্তান কপারের স্টকের দৌড়। দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৩৬ টাকায় উঠেছিল দাম। সব মিলিয়ে ৩.৭৩ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটির শেয়ার। ফলে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের (এনএসই) নিফটি মেটালের শীর্ষ সূচক হিসাবে উঠে এসেছে হিন্দুস্তান কপার। সেখানে ১.৩ শতাংশের বৃদ্ধি দেখা গিয়েছে।
তামার স্টকের এই রকেট গতির জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কযুদ্ধকে দায়ী করেছেন শেয়ার বিশেষজ্ঞেরা। তাঁদের যুক্তি, তামার উপর শুল্ক চাপানোর আগেই বিপুল পরিমাণে এই ধাতুটির আমদানি শুরু করেছে আমেরিকা। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে এর ঘাটতি দেখা গিয়েছে। আর এতেই বুলেট গতিতে বাড়তে শুরু করেছে তামার দাম।
আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, চলতি বছরের একেবারে শেষে গিয়ে তামার উপর ২৫ শতাংশ শুল্ক চাপাবে ট্রাম্প প্রশাসন। বর্তমানে যেটা রয়েছে ইস্পাত এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর। তা ছাড়া ২ এপ্রিল থেকে ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি চালু করার কথা ঘোষণা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। এতে তামা কতটা প্রভাবিত হবে, তা স্পষ্ট নয়। তাই মার্কিন উদ্যোগপতিরা আগাম তামা মজুত শুরু করে দিয়েছেন।
আরও পড়ুন:
আর এতেই শাপে বর হয়েছে ভারতের। পরিস্থিতি যে দিকে গড়াচ্ছে, তাতে আগামী দিনে এ দেশ থেকে আটলান্টিকের পারে তামা রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, মার্কিন শেয়ার বাজারে ইতিমধ্যেই সর্বকালীন উচ্চতা পেয়েছে এই ধাতু। ফলে হিন্দুস্তান কপারের স্টকের দর আরও বাড়ব বলে জানিয়েছে অধিকাংশ ব্রোকারেজ ফার্ম।
(বিশেষ দ্রষ্টব্য: শেয়ার বাজারে লগ্নি বাজারগত ঝুঁকিসাপেক্ষ। আর তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ মেনেই স্টকে বিনিয়োগ করুন। এতে আর্থিক ভাবে লোকসান হলে আনন্দবাজার ডট কম কর্তৃপক্ষ কোনও ভাবেই দায়ী নয়।)