প্রতীকী ছবি।
করোনার প্রতিষেধকের হাত ধরে আর্থিক কর্মকাণ্ড পুরোদমে চালু হওয়া এবং তার জেরে নতুন বছরে বাণিজ্যে গতি আসার আশায় কোমর বাঁধছে শিল্প। তারই মধ্যে অতিমারির ধাক্কা যে এখনও চাহিদায় প্রভাব ফেলছে, তার প্রমাণ দিয়ে ডিসেম্বরে ফের কমল ভারতের রফতানি। শনিবার কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, গত মাসে রফতানি ০.৮% কমে হয়েছে ২৬৮৯ কোটি ডলার। এ নিয়ে টানা তিন মাস তা কমল। ২০২০ সালের শেষ মাসে আমদানি অবশ্য বেড়েছে ৭.৬%। হয়েছে ৪২৬০ কোটি। ফেব্রুয়ারির পরে এই প্রথম তা বৃদ্ধির মুখ দেখল। যার জেরে এই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছুঁয়েছে ১৫৭১ কোটি। যা জুলাইয়ের পরে সর্বাধিক।
রফতানি শিল্পের মতে, বিদেশে পণ্য কম পাঠানো হলেও, সেই পতনের হার আগের মাসগুলির চেয়ে কম। রফতানি সংস্থাগুলির সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট শরদ কুমার সরাফের কথায়, কিছু ক্ষেত্রে বরাত আসছে আগের থেকে বেশি। এ ভাবে চলতে থাকলে জমে থাকা পণ্য দ্রুত খালি করার বিষয়ে আশাবাদী তাঁরা। বিশেষত, পেট্রোপণ্য এবং গয়না ও দামি পাথর বাদে বিভিন্ন পণ্যের রফতানি বৃদ্ধিতে উৎসাহিত শিল্প।
কিন্তু আগামী দিনে রফতানিকে স্থায়ী ভাবে বৃদ্ধির গণ্ডিতে ফেরাতে সরকারকে আরও বেশি করে উদ্যোগী হতে হবে বলে জানিয়েছেন সরাফ। তিনি বলেন, গত কয়েক মাসে কন্টেনারের অভাব এবং তার জেরে পণ্য সরবরাহের খরচ বাড়ায় সমস্যায় পড়ছে রফতানিকারীরা। তা দ্রুত মেটানো জরুরি। পাশাপাশি, ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করা রফতানিকারী সংস্থাগুলি ঘিরে তৈরি হওয়া সমস্যার সুরাহারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি ফিয়োর দাবি, বিদেশে পণ্য রফতানির জন্য আনা মার্চেন্ডাইজ় এক্সপোর্ট ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিমের আওতায় বিভিন্ন সুযোগ যাতে রফতানিকারী সংস্থাগুলির কাছে পৌঁছয়, তা নিশ্চিত করুক কেন্দ্র। সেই সঙ্গে জরুরি, পরিষেবা রফতানি বাড়ানোর জন্য আনা সার্ভিসেস এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিম ঘিরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর মেলাও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy