—প্রতীকী ছবি।
প্রবল গ্রীষ্মে তাপপ্রবাহের জেরে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা রেকর্ড গড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। অথচ সেই মতো জোগান না থাকায় জুনে তার ঘাটতি ১৪ বছরে সর্বাধিক হতে পারে বলে আশঙ্কা খোদ সরকারি মহলের। সূত্রের খবর, এ বছর জুনে রাতে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ ঘাটতি ১৪ গিগাওয়াটে পৌঁছতে পারে। সন্ধ্যা ও রাতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ থাকা এবং জল বিদ্যুৎ প্রত্যাশা পূরণ না করায় সব মিলিয়ে ঘাটতি মাত্রা ছাড়ানোর আশঙ্কা থাকছে।
গত সেপ্টেম্বরে দেশে রেকর্ড গড়ে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ২৪৩ গিগাওয়াটে। কেন্দ্রের অনুমান, এ বার এপ্রিল-জুনে তা হতে পারে ২৬০ গিগাওয়াটে। গ্রিড ইন্ডিয়া প্রজেক্টসের মতে, জুনে রাতে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াতে পারে ২৩৫ গিগাওয়াটে। সূত্র জানাচ্ছে, এর মধ্যে ১৮৭ গিগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ থেকে আসার কথা। প্রায় ৩৪ গিগাওয়াট আসতে পারে অপ্রচলিত বিদ্যুৎ থেকে। এই অবস্থায় জুনে ঘাটতি মেটাতে উৎপাদন কেন্দ্রে রক্ষণাবেক্ষণ পিছোনো-সহ নানা পদক্ষেপ করছে কেন্দ্র। কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের দাবি, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা ধরে নিয়েই প্রস্তুত হচ্ছে তারা।
কিন্তু সেখানেই চিন্তা বাড়াচ্ছে উৎপাদনের হাল। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, দেশে বিদ্যুতের চাহিদা এবং জোগানের ঘাটতি ২০০৯-১০ সালের পরে সবচেয়ে বেশি। জল বিদ্যুৎ উৎপাদন চার দশকে সর্বনিম্ন। বিকল্প বিদ্যুৎ উৎপাদন সে ভাবে বাড়েনি। ইতিমধ্যেই দেশের সব গ্যাস ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে পুরোদমে কাজ চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই অবস্থায় গত সপ্তাহে হাল খতিয়ে দেখতে বৈঠকে বসেন বিদ্যুৎমন্ত্রী আর কে সিংহ। সূত্রের খবর, বিদ্যুৎ কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের কাজ পিছোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে ৫ গিগাওয়াটের বন্ধ তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি ফের চালুর কথাও। যার হাত ধরে চাহিদা মেটানো যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy