সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দল গোষ্ঠীর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওই কেন্দ্রের দিকেই এ বার তাকিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় বন্দর (হলদিয়া)। আশা, প্রয়োজনে জিন্দলরা কয়লা আমদানি করবে। যার হাত ধরে মিটতে পারে বন্দরে পণ্য পরিবহণের ঘাটতি।
জিন্দল গোষ্ঠী সূত্রের খবর, শালবনির কেন্দ্রে কয়লা জোগাবে ওড়িশার ‘মহানদী কোল্ড ফিল্ড’। তার বেশির ভাগই আসার কথা মালগাড়িতে। তবু প্রত্যাশায় বুক বাঁধছে হলদিয়া বন্দর। কারণ, জিন্দলদের কেন্দ্রের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্তা বলেন, ‘‘দিনে ৩২,০০০ টন কয়লা লাগবে শালবনির বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য। ওড়িশা থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে পাওয়া না গেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।’’ বন্দর কর্তৃপক্ষের আশা, কয়লা পরিবহণের সুযোগ পাবেন তাঁরাও। হলদিয়া বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (ট্রাফিক) পার্থ হালদার বলেন, ‘‘তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রাথমিক কথা হয়েছে। কয়লা জোগানে অসুবিধা হলে আমদানি করবেন বলে জানিয়েছেন। আমরা কয়লা পরিবহণ নিয়ে আশাবাদী।’’
বন্দর সূত্রের খবর, গত অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) কয়লা পরিবহণ প্রায় ১৭ শতাংশ বিন্দু কমেছে। বন্দরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, ‘আত্মনির্ভর ভারত’ প্রকল্পে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা কোল ইন্ডিয়া বেশি করে কয়লা উত্তোলন করছে। ফলে, দেশীয় ইস্পাত শিল্প খুব বেশি কয়লা আমদানি করছে না। এরই প্রভাব পড়েছে বন্দরের পণ্য পরিবহণে। তবে শালবনিতে ৩২,০০০ টন কয়লা জোগাতে হলে প্রতি দিন আটটি করে রেলের রেক লাগবে। বন্দর আধিকারিকদের একাংশের ধারণা, প্রতি দিন হয়তো অত রেক জোগাতে পারবেন না রেল কর্তৃপক্ষ। সে ক্ষেত্রে কয়লা আমদানি করতে হবে জিন্দল গোষ্ঠীকে। শালবনির তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের একাংশ হলদিয়া বন্দর পরিদর্শনে আসতে পারেন খুব শীঘ্রই।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)