ছবি সংগৃহীত।
সংসদের অধিবেশনের মধ্যে জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে রাজ্যগুলির সঙ্গে সংঘাতে যেতে চাইল না কেন্দ্র। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হচ্ছে। তাই ১৯ সেপ্টেম্বরের নির্ধারিত জিএসটি পরিষদের বৈঠক পিছিয়ে দেওয়া হল। অধিবেশন শেষ হওয়ার পরেই ৫ অক্টোবর পরিষদের বৈঠক বসবে।
করোনা ও লকডাউনের জেরে রাজ্যগুলিকে জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটাতে পারবেন না বলে জানিয়ে রাজ্যগুলিকে ঋণ নিতে বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি দু’টি বিকল্পও দেন। এক, রাজ্যগুলি চাইলে শুধু জিএসটি থেকে আয় কম হওয়া অর্থ ধার করতে পারে। দুই, রাজ্যের সামগ্রিক রাজস্ব আয়ের ঘাটতিই ধার করে পূরণ করতে পারে।
পশ্চিমবঙ্গ-সহ অন্তত ছ’টি রাজ্য দুই প্রস্তাবই খারিজ করেছে। তাদের দাবি, কেন্দ্র ধার করে ক্ষতিপূরণ মেটাক। তবে অর্থ মন্ত্রক সূত্রের খবর, মধ্যপ্রদেশ-গুজরাতের মতো সাত রাজ্য ক্ষতিপূরণের টাকা ঋণ নেওয়ার বিকল্প বেছে নিয়েছে। আবার সিকিম-মণিপুর সামগ্রিক রাজস্ব ক্ষতিই ধার করে পূরণ করতে চায়।
আজ অধীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির বৈঠকে জিএসটি নিয়ে আলোচনার শুরুতেই প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করা হয়। যিনি অর্থমন্ত্রী হিসেবে এই পরোক্ষ কর চালুর কাজ এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৭ সালের জুলাইয়ে তাঁর হাতেই জিএসটির আনুষ্ঠানিক সূচনাও হয়।
সূত্রের খবর, বৈঠকে ২০১৭-১৮ সালের জন্য জিএসটি বাবদ আয় নিয়ে কনট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেলের রিপোর্টের প্রসঙ্গ ওঠে। যে রিপোর্টে এই কর ব্যবস্থার নানা খামতির কথা উঠে এসেছিল। সদস্যরা করদাতাদের আগে মেটানো করের টাকা ফেরত পেতে সমস্যা, জিএসটির ফাঁক নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অর্থসচিব অজয়ভূষণ পাণ্ডে জানান, আরও নিখুঁত ব্যবস্থা তৈরির চেষ্টা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy