প্রতীকী ছবি।
অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে বেণুগোপাল পরামর্শ ছিল, রাজ্যগুলির জিএসটি ক্ষতিপূরণ মেটানোর কোনও দায় নেই কেন্দ্রের। সেই দায়িত্ব জিএসটি পরিষদের। করোনার আবহে খরচের তোড়ে বিপর্যস্ত অনেক রাজ্যের যা শুনে মাথায় হাত পড়েছে। এই অবস্থায় তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য অর্থ জোগাড়ের পথ খুঁজতে ২৭ অগস্ট ভিডিয়ো বৈঠকে বসবে পরিষদ।
তবে সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, পরিষদের সামনেও পথ কম। তারা জিএসটির হার বা সেসের হার বাড়িয়ে তহবিল সংগ্রহ করতে পারে। আরও পণ্য ও পরিষেবাকে আনতে পারে সেসের আওতায়। কিন্তু অতিমারিতে মানুষের রুজি চোট খাওয়ায় তেমন পদক্ষেপ করাও কঠিন। সে ক্ষেত্রে পরিষদ বা রাজ্যগুলিকে সরাসরি বাজার থেকে ঋণ নিয়ে আয়ের ফারাক ভরাট করার রাস্তা খুলে দিতে হতে পারে। তবে তা উল্টো ঋণের বোঝা বাড়াবে রাজ্যগুলির। এই প্রেক্ষিতেই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল।
জিএসটি চালুর সময়ে ভাবা হয়েছিল, প্রতি বছর ১৪% করে কর সংগ্রহ বাড়তে পারে রাজ্যগুলির। না-হলে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দেবে কেন্দ্র। টাকা মেটানো হবে জিএসটি-র আওতায় সেস খাতে রাজকোষে ঢোকা অর্থ দিয়ে। কিন্তু প্রথমে অর্থনীতির ঝিমুনি এবং তার পরে করোনার ধাক্কা, এই দুইয়ের জেরে জিএসটির পাশাপাশি, সেস সংগ্রহও কমেছে। ফলে প্রতি দু’মাস অন্তর রাজ্যগুলির ক্ষতিপূরণ পাওয়ার কথা থাকলেও, গত বছর থেকেই তা অনিয়মিত হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থসচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে বলেন, কেন্দ্রের পক্ষে ওই টাকা মেটানো সম্ভব নয়। তার পরেই সামনে আসে বেণুগোপালের পরামর্শ।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে রাজ্যগুলিকে ১.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি ক্ষতিপূরণ মিটিয়েছিল কেন্দ্র। যদিও সেস সংগ্রহ হয়েছিল ৯৫,৪৪৪ কোটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy