প্রতীকী ছবি
করোনা থেকে বাঁচতে গত বছরের দীর্ঘ লকডাউনে স্তব্ধ কারবার এবং সেই ধাক্কা কাটিয়ে সামান্য এগোতে না-এগোতেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের ঝাপটায় ফের বিক্রিবাটায় ঘা। খুচরো হোক বা পাইকারি, দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবসায়ীরা সেই দুর্ভোগের ছবি তুলে ধরে অর্থ সাহায্যের আর্জি জানাচ্ছিলেন কেন্দ্রের কাছে। শুক্রবার ছোট শিল্পমন্ত্রী নিতিন গডকড়ী জানালেন, ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পের (এমএসএমই) আওতায় আসবে খুচরো ও পাইকারি ব্যবসাও। উপকৃত হবে প্রায় ২.৫ কোটি এমন ব্যবসায়ী। এই সিদ্ধান্তে ব্যবসায়ীরা খুশি হলেও ক্ষুব্ধ ছোট শিল্পমহল।
বছর কয়েক আগে এমএসএমই-র সংজ্ঞা বদলের পরে কিছু ব্যবসা এর আওতায় ঢুকে পড়ছে বলে আপত্তি তুলেছিল ছোট শিল্প। আপত্তি মেনে সে সময় বাদ গিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এ দিন ফের তাঁদের এই শিল্পের সঙ্গে এক আসনে ঠাঁই দেওয়ায় ক্ষুব্ধ ও হতাশ ছোট-মাঝারি সংস্থাগুলি। তাদের সংগঠন ফসমি-র প্রেসিডেন্ট বিশ্বনাথ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘ব্যবসায়ী মহলের সমস্যা থাকতেই পারে। তা আলাদা করে দেখা দরকার। ব্যবসার সঙ্গে শিল্পকে এক মঞ্চে রাখলে শিল্পের গুরুত্ব কমার আশঙ্কা থাকে। তাদের জন্য পৃথক সাহায্য জরুরি।’’
তাঁর এবং ছোট-মাঝারি শিল্পের আর এক সংগঠন ফিসমে-র সেক্রেটারি জেনারেল অনিল ভরদ্বাজের দাবি, সরকারি বরাতে এমএসএমই-গুলির জন্য যে নির্দিষ্ট অংশ থাকে, সেখানেও ব্যবসায়ী সংস্থা ভাগ বসাবে। ফলে ধাক্কা খাবে ছোট-মাঝারি শিল্প সংস্থা। তাদের প্রাপ্য ঋণেও টান পড়তে পারে।
তবে খুশি কনফেডারেশন অব ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন্স-এর সভাপতি সুশীল পোদ্দার। তিনি বলেন, ‘‘এতে সহজে ও কম সুদে ঋণ থেকে অনেক সুবিধা পাবেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসা দ্রুত বাড়বে।’’ ফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ব্যাপার মন্ডলের সভাপতি জয়েন্দ্র তান্না-র মতে, ‘‘জিডিপির ৪৫% আসে খুচরো ব্যবসা থেকে। কাজ তৈরি হয় সব চেয়ে বেশি। তাতে আরও গতি আসবে।’’ রিটেলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিইও কুমার রাজাগোপালনের আশা, এর ফলে খুচরো ব্যবসার পুনরুজ্জীবন ঘটবে। তা আরও সংগঠিত হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy