Advertisement
১৯ নভেম্বর ২০২৪

ঘাটতি লক্ষ্য ছাপাবে, আশঙ্কা ভাঁড়ার ভাগেও

মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বেঁধেছিলেন।

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:২৭
Share: Save:

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের বাড়তি ভাঁড়ার ভাগের সুপারিশ কার্যকর হতে চলেছে। চলতি অর্থবর্ষেই কেন্দ্রের হাতে আসবে অতিরিক্ত ডিভিডেন্ড। কিন্তু সরকারি সূত্রের বক্তব্য, এর পরেও এ বছর রাজকোষ ঘাটতিকে লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাখতে ব্যর্থ হতে পারে কেন্দ্র।

মোদী সরকার দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পরে প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা জিডিপির ৩.৩ শতাংশে বেঁধেছিলেন। জানিয়েছিলেন, লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়ার জন্য বিলগ্নিকরণের মাধ্যমে তুলতে চান ১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে শীর্ষ ব্যাঙ্ক থেকে ৯০,০০০ কোটি টাকা ডিভিডেন্ড হিসেবে রাজকোষে আসতে পারে বলেও জানান তিনি। বাস্তবে ডিভিডেন্ড মিলতে চলেছে প্রত্যাশার চেয়েও বেশি। কিন্তু সরকারি সূত্রের খবর, চাহিদার অভাবে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড যে ভাবে ধাক্কা খেয়েছে তাতে কর সংগ্রহ কম হতে পারে। আবার বাজারের যা পরিস্থিতি তাতে বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় সরকারি অংশীদারি বিক্রির লক্ষ্যমাত্রাও পিছিয়ে দিতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া যাবে কি না, সে ব্যাপারে সন্দেহ তৈরি হয়েছে কেন্দ্রের অন্দরেই। মনে করা হচ্ছে, সরকারি খরচ কমানো নিয়ে নতুন করে ভাবনাচিন্তা শুরু না-করলে ঘাটতি পৌঁছতে পারে জিডিপির ৩.৫ শতাংশের কাছাকাছি।

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, উৎপাদন, গাড়ি, আবাসন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গত কয়েক মাসে চাহিদা যে হারে কমেছে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে জিএসটি সংগ্রহে। যার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে ইতিমধ্যেই। চলতি অর্থবর্ষেই দু’মাস জিএসটি সংগ্রহ নেমেছে ১ লক্ষ কোটি টাকার নীচে। সব মিলিয়ে কর সংগ্রহ হতে পারে বাজেটের হিসেবের চেয়ে ১ লক্ষ কোটি টাকা কম। আবার সরকারি সূত্রের খবর, শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি তেমন ইতিবাচক না-হওয়ায় এনটিপিসি, জেনারেল ইনশিওরেন্স এবং হাডকোয় সরকারের অংশীদারি বিক্রির পরিকল্পনাও পিছিয়ে যেতে পারে।

তা হলে কী ভাবে পূরণ করা সম্ভব হবে ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা?

বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এ ক্ষেত্রে সরকারের অস্ত্র হতেই পারত খরচ ছাঁটাই। কিন্তু চাহিদায় জোয়ার আনতে তা করা কার্যত অসম্ভব কেন্দ্রের পক্ষে। বাজারকে চাঙ্গা করতে ইতিমধ্যে কয়েকটি পদক্ষেপ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী। হাতে নিতে হতে পারে আরও ত্রাণ প্রকল্প। সে দিক থেকে দেখলে এই মুহূর্তে উভয় সঙ্কটের মুখোমুখি কেন্দ্র। পরিস্থিতি বুঝে অর্থবর্ষের শেষের দিকে হয়তো রাজকোষ ঘাটতির নতুন লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করতে হতে পারে সরকারকে।

অন্য বিষয়গুলি:

RBI Reserve Bank Of India Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy