—প্রতীকী ছবি
দিন দিন বাড়ছে স্বর্ণ ঋণ নেওয়ার পরিমাণ। চলতি অর্থবর্ষে (২০২৪-২৫) ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলি থেকে সোনার উপর নেওয়া ঋণের পরিমাণ ১০ লক্ষ কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে। সদ্য প্রকাশিত সমীক্ষা রিপোর্টে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ২০২৭ সালের মার্চে স্বর্ণ ঋণের পরিমাণ আরও বেড়ে ১৫ লক্ষ কোটিতে দাঁড়াবে বলে জানিয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
স্বর্ণ ঋণের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলির মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। সোনা বন্ধক রেখে কৃষি ঋণ দেওয়ায় ব্যাঙ্কের একচেটিয়া আধিপত্য রয়েছে। অন্য দিকে হলুদ ধাতু জমা রেখে খুচরো ঋণ বিলিতে এগিয়ে রয়েছে নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলি। রেটিং সংস্থা আইসিআরএর দাবি, ২০২৫ আর্থিক বছরে দু’ধরনের ঋণের বাজার প্রসারিত হচ্ছে। যা ১৭ থেকে ১৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে তারা।
সমীক্ষকদের দাবি, সংগঠিত স্বর্ণ ঋণের ব্যবসা ২০২০ থেকে ২০২৪ আর্থিক বছরের মধ্যে চক্রবৃদ্ধি হারে প্রতি বছর ২৬ শতাংশ হারে বেড়েছে। এই সময়সীমার মধ্যে সোনা বন্ধক রেখে অধিকাংশ ঋণই নেওয়া হয়েছে ব্যাঙ্ক থেকে। পাশাপাশি, ২০২০ থেকে ২০২৫ আর্থিক বছরের মধ্যে নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলির স্বর্ণ ঋণের ব্যবসা ১৮ শতাংশ প্রসারিত রয়েছে।
তবে হলুদ ধাতুর মূল্যের উপর ভিত্তি করে ব্যাঙ্ক যে কোনও খুচরো ঋণ দেয়নি, তা কিন্তু নয়। রেটিং সংস্থা আইসিআরএ জানিয়েছে, ২০২০ থেকে ২০২৫ আর্থিক বছরের মধ্যে ব্যাঙ্কের এই ধরনের ঋণ দেওয়ার ব্যবসা বেড়েছে ১৮ শতাংশ। ব্যাঙ্কের থেকে সোনা বন্ধক রেখে খুচরো ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সময় সীমার মধ্যে নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানগুলির ব্যবসা মার খেয়েছে। পাশাপাশি কমেছে ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য নন ব্যাঙ্কিং সংস্থার থেকে ঋণ নেওয়ার পরিমাণও।
২০২৪ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত মোট স্বর্ণ ঋণের ৬৩ শতাংশই দিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে যা ছিল ৫৪ শতাংশ। সমীক্ষকদের দাবি, গত ৩-৪ বছরে খুচরো স্বর্ণ ঋণের বাজারে আধিপত্য বজায় রেখেছে নন ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy