প্রতীকী ছবি।
ব্যবসা বাঁচাতে এ বার কেন্দ্রের কাছে ত্রাণ প্রকল্প চায় স্বর্ণ শিল্পও। আর্জি, পুজোর আগেই তা দেওয়া হোক। নইলে এই শিল্পেও কর্মী ছাঁটাই এড়ানো মুশকিল হবে বলে আশঙ্কা তাদের।
সোমবার কলকাতায় অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর সেন বলেন, ‘‘ব্যবসা কমেছে প্রায়
৯৫%। সমস্যা থেকে বেরোতে সরকারের কাছে ত্রাণ প্রকল্প চালুর আর্জি জানিয়েছি।’’ স্বর্ণশিল্প বাঁচাও কমিটির কার্যকরী সভাপতি বাবলু দের দাবি, দেশে গয়না শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৮ কোটি মানুষ। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যে প্রায় ১০,০০০ সোনার দোকান ও ৮২৭টি হলমার্ক কেন্দ্র আছে। শুধু সেখানেই কর্মীর সংখ্যা প্রায় দেড় লাখ। ব্যবসা না থাকলে কর্মী ছাঁটাইয়ের
কথা ভাবতে বাধ্য হব।’’
অশোধিত তেলের পরেই সোনা আমদানিতে সব চেয়ে বেশি বিদেশি মুদ্রা খরচ হয়। বাণিজ্য ঘাটতিতে রাশ টানতে গত কয়েক বছরে সোনার আমদানি শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এখন তা ১২.৫%। এ দিকে সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে সোনার দাম বৃদ্ধি, জিএসটি ও আমদানি শুল্ক বাড়ায় প্রতি ১০ গ্রাম পাকা সোনা ৪১,০০০ টাকা ছুঁইছুই (কর-সহ)। ফলে সোনায় লগ্নি তেমন না কমলেও, কমেছে গয়নার চাহিদা। সঙ্কটে পড়েছেন কারিগরেরা।
ক্যালকাটা জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অশোক বেঙ্গানি বলেন, ‘‘গয়না আমদানিতে বিদেশি মুদ্রা খরচ
হয় ঠিকই। কিন্তু ভারত রফতানি থেকে মোট যত বিদেশি মুদ্রা আয় করে, তার প্রায় ১৭% আসে গয়না ও মূল্যবান পাথর রফতানি করেই।’’ ফলে দেশের স্বার্থেই এই শিল্পের দিকে কেন্দ্রের নজর দেওয়া উচিত, মত সংশ্লিষ্ট মহলের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy