প্রতীকী ছবি।
পশ্চিমবঙ্গে গেল-এর প্রাকৃতিক গ্যাসের জোগান নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে চর্চার প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ হচ্ছে আজ, রবিবার। উত্তরপ্রদেশ থেকে ঝাড়খণ্ড হয়ে দুর্গাপুর পর্যন্ত সংস্থার পাইপলাইনটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেই গ্যাস ব্যবহার করেই অবশেষে নির্বিঘ্নে পথ চলার স্বপ্ন দেখছে রাজ্যে সার কারখানা তৈরির জন্য এক যুগ আগে দেওয়া ম্যাটিক্স ফার্টিলাইজ়ারের লগ্নির প্রস্তাব। সংস্থার আশা, মার্চের মধ্যে তাদের কারখানা ফের চালু হবে। গ্যাসের পর্যাপ্ত জোগানের অভাবে যেটি বছর তিনেক আগে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এ বছরেই তার সম্প্রসারণ করে আরও লগ্নির পরিকল্পনাও রয়েছে সংস্থার।
দুর্গাপুরে এসার গোষ্ঠীর ‘কোল বেড মিথেন’ (সিবিএম) গ্যাস জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে ২০০৮-০৯ সালে রাজ্যে লগ্নি প্রস্তাব দেয় ম্যাটিক্স। মাঝে সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনকে ঘিরে শিল্পায়নে জটিলতা তৈরি হলেও ম্যাটিক্সকে কেন্দ্র করে পানাগড়ে ১৫০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে শিল্পতালুক গড়ে শিল্পোন্নয়ন নিগম। ২০১৪ সালে সংস্থার প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ শেষ হয়। সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে কিছু দিনে প্রায় ১৩,০০০ টন সার তৈরি করে বিক্রি করে তারা। কিন্তু গ্যাসের অভাবে তা বন্ধ হওয়ায় আর্থিক সঙ্কটে পড়ে সংস্থাটি।
এখন ফের কারখানা চালু করে ধারাবাহিক ভাবে উৎপাদন চালানোয় তাদের ভরসা জোগাচ্ছে গেল-এর গ্যাস। সংস্থা সূত্রের দাবি, এর মধ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলায় গ্যাস আসার পরে শীঘ্রই কারখানা চালু হবে। সব মিলিয়ে ১০০০-১২০০ কর্মসংস্থান হবে সেখানে। এখনই উৎপাদন ক্ষমতা বাড়িয়ে ১৫ লক্ষ টন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া সম্ভব। মাস ছয়েকের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের উৎপাদন স্বাভাবিক হলে দ্বিতীয় পর্যায়ের নির্মাণ শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে। দেড় বছরে তা সম্পূর্ণ হবে। সংস্থা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারখানা চালু হলে দেশের সার আমদানি ১৫% কমবে। ৪০-৫০ কোটি ডলার সাশ্রয় হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy