তেলকে নাগাড়ে চড়তে দেখেও অবিলম্বে তার সুরাহা নিয়ে মুখে কুলুপ কেন্দ্রের
দেশ জুড়ে লাগামহীন ভাবে দৌড়চ্ছে তেল। সর্বত্র তার নজিরবিহীন দামে দিশেহারা মানুষ। কলকাতার ক্রেতারা যখন আইওসি-র পাম্পে লিটারে পেট্রল কিনছেন ৮৭.৬৯ টাকায়, তখন রাজস্থানের শ্রীগঙ্গানগরে তার দর ১০০ টাকা থেকে কয়েক হাত দূরে, ৯৮.৪০ টাকায়। তবে সেখানে ব্র্যান্ডেড (উন্নত মানের দামি তেল) পেট্রল ছুঁয়ে ফেলেছে ১০১.১৫ টাকা। মুম্বইয়ে সাধারণ পেট্রল বিকিয়েছে ৯২.৮৬ টাকায়, দিল্লিতে ৮৬.৩০ টাকায়। বাঁধনছাড়া ডিজেলও। কলকাতায় এক লিটার ডিজেল কিনতে ক্রেতাদের গুনতে হয়েছে ৮০.০৮ টাকা। মুম্বই ও দিল্লিতে যথাক্রমে ৮৩.০৩ এবং ৭৬.২৩ টাকা। তবে বৃহস্পতিবার তেলের দামে কোনও বদল হয়নি।
তেলকে নাগাড়ে চড়তে দেখেও অবিলম্বে তার সুরাহা নিয়ে মুখে কুলুপ কেন্দ্রের, সর্বত্র উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে দামে রাশ টানার দাবি উঠলেও। শুধু মাঝেমধ্যে কেন্দ্রের নেতা-মন্ত্রীরা দাম বৃদ্ধির যুক্তি হিসেবে অশোধিত তেলের আমদানি বিল চড়া হওয়ার কারণ ও সেই খরচ কমানোর কিছু দীর্ঘ মেয়াদি পথের কথা বলছেন। যেমন সম্প্রতি তেলমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান সৌদি আরবের মতো তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির জোগান কমানোর সিদ্ধান্তকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। বুধবার দাবি করেছেন, আমদানি নির্ভরতা কমাতে
তাঁরা পেট্রলে ২০% ইথানল মেশানোর লক্ষ্য পাঁচ বছর এগিয়ে ২০২৫ করেছেন। কেউ বৈদ্যুতিক গাড়িতে জোর দেওয়ার কথাও বলছেন।
কিন্তু মানুষের প্রশ্ন, এখন তেলের দাম কমানোর পদক্ষেপ কই? কেনই বা শুল্ক কমানোর বার্তা নেই? কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সূরজেওয়ালার তোপ, ‘‘নির্দয় মোদী সরকার পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়িয়ে লুঠতরাজ বহাল রেখেছে। যখন নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন অশোধিত তেল ছিল ব্যারেলে ১০৮ ডলার। আজ ৫৫.১৭ ডলার। অথচ তখন দিল্লিতে পেট্রল-ডিজেল ছিল যথাক্রমে লিটারে ৭১.৪১ এবং ৫৫.৪৯ টাকা, আজ ৮৬.৩০ এবং ৭৬.৪৮ টাকা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy