ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার যুগ্ম সচিব প্রদীপ শেট্টি বলেন, ‘‘হোটেল-রেস্তরাঁর ব্যবসা এখনও করোনাকালে হওয়া লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের এত বেশি দামে দুর্ভোগ আরও বাড়ল।”
বিমান শিল্পের আশঙ্কা, আগামী দিনে একাংশের পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। ফাইল চিত্র।
প্রায় সব জ্বালানিই পাল্লা দিয়ে চড়ছে। দাম যত বাড়ছে, তত জোরালো হচ্ছে প্রশ্ন, উৎপাদন শুল্ক কমানোর মতো পদক্ষেপ করে অবিলম্বে সকলকে সুরাহা দেওয়ার পথে হাঁটছে না কেন সরকার? আজ, শনিবার কলকাতায় আইওসি-র পাম্পে পেট্রল ৮৪ পয়সা বেড়ে ১১২.১৯ টাকা হয়েছে। ডিজ়েল ৮০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৭.০২ টাকা। ১০ দিনে পেট্রলের দাম বেড়েছে মোট ৭.৫২ টাকা, ডিজ়েলের ৭.২৩ টাকা। টানা সাত বার বেড়ে কলকাতায় ১,১৭,৩৫৩.৭১ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে কিলোলিটার পিছু বিমান জ্বালানি এটিএফ-ও। পেট্রল আর এটিএফের দাম এই মুহূর্তে রেকর্ড উচ্চতায়। আশঙ্কা, ডিজ়েলও বেশি দিন সেই দৌড়ে পিছিয়ে থাকবে না। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, দাম বৃদ্ধির এই গতি সব ক্ষেত্রেই নজিরবিহীন।
তেল সংস্থা সূত্র বলছে, বিশ্ব বাজারে জ্বালানির চড়া দাম প্রতিফলিত হচ্ছে দেশে। এড়িয়ে যাওয়ার পথ নেই। তবে বিমান শিল্পের আশঙ্কা, কিছু সংস্থার পক্ষে জ্বালানি খাতের খরচ বহন করা ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে। আগামী দিনে একাংশের পক্ষে ব্যবসা চালিয়ে যাওয়াই অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে। একলপ্তে ২৬৪.৫০ টাকা বেড়ে ২৩৫১.৫০ টাকা হয়েছে হোটেল-রেস্তরাঁয় রান্নার কাজে ব্যবহৃত ১৯ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দামও। বিশেষজ্ঞদের মতে, শিল্প তো ক্ষতি গুনছেই। তবে সব জ্বালানির ধাক্কা শেষ পর্যন্ত সাধারণ মানুষের গায়ে এসেই লাগবে। বিমান টিকিটের দাম ইতিমধ্যেই অনেক বেড়েছে। এমন চললে খাবারের দামও বাড়বে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে হোটেল-রেস্তরাঁগুলি। তেলের দামে পণ্য পরিবহণের খরচ বাড়ায় খাদ্যপণ্য এবং নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম ইতিমধ্যেই বাড়তে শুরু করেছে। যাতায়াতেও খরচ হচ্ছে বেশি। হাজার টাকার রান্নার গ্যাস থেকে শুরু করে দামি ভোজ্য তেল সংসার খরচকে এত বাড়িয়েছে যে, প্রানান্তকর অবস্থা আমজনতার।
ফেডারেশন অব হোটেল অ্যান্ড রেস্তরাঁ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার যুগ্ম সচিব প্রদীপ শেট্টি বলেন, ‘‘হোটেল-রেস্তরাঁর ব্যবসা এখনও করোনাকালে হওয়া লোকসান কাটিয়ে উঠতে পারেনি। ফলে বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের এত বেশি দামে দুর্ভোগ আরও বাড়ল। এখন শিল্প খাবারের দাম বাড়াচ্ছে না। কিন্তু এমন চললে না বাড়িয়ে উপায় থাকবে না।’’ ইন্ডিগোর সিইও রণজয় দত্তেরও দাবি, এটিএফের দামের বিরূপ প্রভাব পড়ছে বিমান শিল্পে। সংস্থাগুলিকে লাভজনক রাখতে এবং আমজনতার খরচ কমাতে জ্বালানির পেছনে বাড়তি খরচ পুষিয়ে নিতেই হবে। সেই জন্যে তাকে জিএসটি-র আওতায় আনা নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা চলছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy