প্রতীকী ছবি।
অতিমারির ধাক্কা কাটিয়ে দেশ তথা বিশ্বের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বটে, কিন্তু সেই প্রক্রিয়া কিছুতেই মসৃণ হতে পারছে না। মূল কারণ, করোনারই একের পর এক ঢেউ। আর এখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং তার প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে ছড়িয়ে পড়া। এই অবস্থায় আগামী অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাসে বিপুল ছাঁটাই করল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। ১০.৩% থেকে কমিয়ে করল ৮.৫%। তাদের বক্তব্য, যুদ্ধের ফলে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি এবং তার প্রভাবে মূল্যবৃদ্ধির হার আরও মাথাচাড়া দেওয়াই আগামী দিনে দেশের আর্থিক কর্মকাণ্ডকে ব্যাহত করবে।
সম্প্রতি চলতি ক্যালেন্ডারবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪০ বেসিস পয়েন্ট ছাঁটাই করে ৯.১% করেছে আর এক মূল্যায়ন সংস্থা মুডি’জ়। তাদের বক্তব্য ছিল, জ্বালানি এবং সারের আমদানি খরচ মেটাতে গিয়ে সরকারের মূলধনী খরচ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমতে পারে। তার ফলে বৃদ্ধির হার আগের প্রত্যাশার জায়গায় পৌঁছবে না। আর মঙ্গলবার ‘গ্লোবাল ইকনমিক আউটলুক-২০২২’ প্রকাশ করে ফিচ জানিয়েছে, রাশিয়ার উপরে আমেরিকা-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে তা খুব তাড়াতাড়ি ওঠার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। এর ফলে সারা বিশ্বে জ্বালানির সরবরাহ ব্যবস্থা বিঘ্নিত তো হবেই, ধাক্কা খাবে সামগ্রিক সরবরাহও। তার ফলে ইতিমধ্যেই মাথাচাড়া দেওয়া মূল্যবৃদ্ধি আরও মাথা তুলতে পারে। এর প্রভাব পড়বে ভারতেও।
ফিচের রিপোর্টে বলা হয়েছে, ‘‘তেল এবং গ্যাসের দাম বৃদ্ধির ফলে শিল্প ক্ষেত্রে খরচ বাড়বে। কমবে সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয়।’’ মূল্যায়ন সংস্থাটি জানিয়েছে, এর ফলে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮.৫ শতাংশের উপরে ওঠা কঠিন। বিশ্বের জিডিপি বৃদ্ধির পূর্বাভাসও ৭০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৩.৫% করেছে তারা। তবে এর পাশাপাশি ফিচ এ-ও জানিয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার হতে পারে ৮.৭%। যা আগের পূর্বাভাসের থেকে ৬০ বেসিস পয়েন্ট বেশি। তাদের বক্তব্য, অক্টোবর-ডিসেম্বরে অর্থনীতি অপ্রত্যাশিত রকম ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy