আবার বিনিয়োগ ও বিক্রিবাটা বাড়া এবং তার ফলে কর আদায় বৃদ্ধির জন্যও মধ্যমেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে
দেশীয় সংস্থার কর্পোরেট কর কমার ফলে বিনিয়োগ এবং আর্থিক বৃদ্ধির হার বাড়তে পারে বলে জানাল মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ। কিন্তু একই সঙ্গে তাদের সতর্কবার্তা, এই ধরনের ইতিবাচক ফলের জন্য আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হতে পারে। কিন্তু তারও আগে চলতি অর্থবর্ষে বাড়তে পারে রাজকোষ ঘাটতি। তাদের ব্যাখ্যা, গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধির হার যে ভাবে কমেছে, তাতে কেন্দ্রের পক্ষেও এখন খুব বেশি খরচ ছাঁটাই করা সম্ভব নয়। আবার বিনিয়োগ ও বিক্রিবাটা বাড়া এবং তার ফলে কর আদায় বৃদ্ধির জন্যও মধ্যমেয়াদ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে। ২০২০-২১ এবং ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ভাল হতে পারে বৃদ্ধির হার।
এইচডিএফসির চেয়ারম্যান দীপক পারেখের বক্তব্য অবশ্য ভিন্ন। তাঁর পরামর্শ, দাম কমিয়ে কর্পোরেট কর কমার সুবিধা ক্রেতাদের দিক মুনাফাকারী সংস্থাগুলি। এর ফলে বিক্রিবাটা বাড়বে। এমনকি রাজকোষ ঘাটতি বাড়ার আশঙ্কাও অমূলক বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ৫ জুলাই পেশ করা বাজেটে রাজকোষ ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ৩.৩ শতাংশে বেঁধেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এর পরে চাহিদা এবং বৃদ্ধি টাকা কমতে থাকায় অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে গত এক মাসে অন্তত চার দফা পদক্ষেপ ঘোষণা করেন তিনি। এর মধ্যে শেষ দফায় কমিয়েছেন কর্পোরেট কর। এর ফলে চলতি অর্থবর্ষে কর আদায় কমতে পারে ১.৪৫ লক্ষ কোটি টাকা। এই প্রসঙ্গে পারেখের যুক্তি, এয়ার ইন্ডিয়া-সহ বেশ কয়েকটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে বড় অঙ্কের অর্থ জমা পড়বে রাজকোষে।
ফিচ মনে করিয়ে দিয়েছে, বিনিয়োগ বৃদ্ধির যে সমস্ত শর্ত রয়েছে তার মধ্যে একটি অবশ্যই কর্পোরেট করের হার। কিন্তু পরিকাঠামো, শ্রম আইন, সামগ্রিক ব্যবসার পরিবেশও এ ক্ষেত্রে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেগুলির দিকেও নজর দিতে হবে সরকারকে। মূল্যায়ন সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, শীঘ্রই বৃদ্ধির সংশোধিত পূর্বাভাস প্রকাশ করবে তারা। তা আগের তুলনায় কমানো হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy