ছোট শিল্পের জন্য চালু সুরাহাগুলি প্রচারের পক্ষে সওয়াল করেছে দফতর। প্রতীকী ছবি।
নোটবন্দি এবং জিএসটি ধাক্কা দিয়েছিল ক্ষুদ্র, ছোট, মাঝারি শিল্পকে (এমএসএমই)। মাথা তোলার আগেই কোভিড হানায় দুর্ভোগ বাড়ে বহু গুণ। যা এখনও বহাল চড়া মূল্যবৃদ্ধির কারণে। বহু ছোট সংস্থা বন্ধ হয়েছে। যারা কোনও রকমে টিকে থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, এ বার তাদের সমবায় গড়ে উৎপাদন, বিপণন এবং রফতানির বিষয়গুলি পরিচালনার পরামর্শ দিল রফতানিকারীদের সংগঠন ফিয়ো। কেন্দ্রের ক্ষুদ্র-ছোট-মাঝারি শিল্পোন্নয়ন দফতরের দাবি, সচেতনতার অভাবেও অনেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারে না। অথচ দেশে মোট রফতানি পণ্যের ৪৫% উৎপাদন করে তারা। তাই ছোট শিল্পের জন্য চালু সুরাহাগুলি প্রচারের পক্ষে সওয়াল করেছে দফতর।
বৃহস্পতিবার এক সভায় ফিয়োর আঞ্চলিক অধিকর্তা দেবদত্তা নন্দওয়ানি বলেন, রফতানির বড় বরাত হাতে আসলেও তা সরবরাহ করতে পারছে না বহু ছোট সংস্থা। এতে রফতানির বাজারে দেশীয় শিল্পের সুনামও ক্ষুণ্ণ হছে। তাই বিশেষত ক্ষুদ্র এবং ছোট মাপের সংস্থাগুলির জন্য নন্দওয়ানির পরামর্শ, “বড় রফতানির বরাত একার পক্ষে জোগানো মুশকিল হলে সকলে মিলে সমবায় গড়ুক। রফতানির বাজারে ফিয়ো-ও তাদের সাহায্য করতে পারবে।’’
কেন্দ্রের এমএসএমই উন্নয়ন দফতরের যুগ্ম অধিকর্তা দেবব্রত মিত্রের বক্তব্য, সরকারি সহায়তা প্রকল্পগুলির হাত ধরলেও অনেক সংস্থা বেঁচে যাবে। কিন্তু এগুলির কথা অনেকে জানেই না। তাঁর কথায়, ‘‘যেমন, সরকারি সুবিধা পেতে ‘উদ্যম’ পোর্টালে নথিবদ্ধ হতে হয়। পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৮৮ লক্ষ ছোট সংস্থার মাত্র ৪.৫ লক্ষ তাতে নাম তুলেছে। অনলাইনে পণ্য বিপণনের জন্য এবং সরকারি বরাত পেতে কেন্দ্রের ‘জেম’ পোর্টালে নথিবদ্ধ হওয়া জরুরি। কিন্তু দেশের কয়েক কোটি ছোট-মাঝারি সংস্থার মাত্র ৮ লক্ষ নাম তুলেছে সেখানে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy