—প্রতীকী চিত্র।
চলতি খরিফ মরসুমে এমনিতেই লক্ষ্যমাত্রার থেকে কম জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। তার উপর আবহাওয়া খামখেয়ালি। কোথাও বৃষ্টি কম, কোথাও বেশি। রাজ্য কৃষি দফতরের অবশ্য দাবি, রোপণের পর থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে স্বাভাবিক ফলনের আশা। অন্তত গত মরসুমের মতো কম ফলন হবে না। তবে খামখেয়ালি আবহাওয়ায় রোগপোকার আক্রমণের আশঙ্কা, বৃষ্টির ঘাটতি-সহ নানা কারণে ফলন এবং ধানের মান নিয়ে সংশয়ী চাষিদের একাংশ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, ফলন কমলে ফের বাজারে চালের দাম বাড়ার আশঙ্কা আছে কি?
রাজ্যে গত মরসুমের চেয়ে এ বারে আমন ধান চাষের এলাকা বেড়েছে। কিন্তু তা রোপণে কৃষি দফতরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়নি। সে জন্য মূলত দক্ষিণবঙ্গে কম বৃষ্টিপাতকেই দায়ী করছেন কৃষি-কর্তারা। ৪৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে চাষের লক্ষ্য ছিল। দক্ষিণবঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার ৮৯.৯২ শতাংশে চাষ হয়েছে। উত্তরবঙ্গে অবশ্য ভাল বৃষ্টির কারণে ১০৪% জমিতে ধান রোপণ করা হয়। পশ্তিম কৃষি দফতর জানাচ্ছে, সব মিলিয়েও লক্ষ্যমাত্রার থেকে প্রায় ৭% কম জমিতে চাষ হচ্ছে। কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘চাষের শুরুতে যে বৃষ্টির অভাব ছিল, পরে তা অনেকটা মিটেছে।’’
কৃষি দফতর সূত্রে খবর, ধান রোপণের পরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টি হলেও, উত্তরবঙ্গে কমেছে। রোগপোকা, সার নিয়ে সমস্যার প্রভাব ফলনে পড়ছে কি না, তা নজরে রাখতে কৃষিসচিব ওঙ্কার সিংহ মিনা-সহ দফতরের আধিকারিকেরা বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছেন। ২০২১-এ আমন ধান ফলেছিল ১.৮৩ লক্ষ টন। গত মরসুমে কমে হয় ১.৭৩ লক্ষ টন। কৃষিসচিব বলেন, ‘‘আমাদের আশা, এ বার আমনের উৎপাদন স্বাভাবিক হবে।’’
সংশ্লিষ্ট মহলের আশঙ্কা, ধানের উৎপাদন কমলে চালের দামে তার প্রভাব পড়বে। সম্প্রতি খুচরো বাজারে মোটা চালের কেজি প্রায় ৫ টাকা বেড়ে হয় ৪২-৪৩ টাকা। খোলা বাজারে দাম বাড়ায় সহায়ক মূল্যে বিক্রি আগ্রহও কম চাষিদের। চলতি মরসুমে (অক্টোবর-সেপ্টেম্বর) ৬০ লক্ষ টন ধান কেনার লক্ষ্য ছিল খাদ্য দফতরের। এখনও পর্যন্ত প্রায় ৫৪ লক্ষ টন কিনতে পেরেছে।
যদিও কৃষি-কর্তা থেকে শুরু করে চালকল মালিকদের দাবি, চালের দাম শুধুমাত্র ধানের ফলনের উপরে নির্ভরশীল নয়। রাজ্যে চালকল মালিক সংগঠনের কর্তা আব্দুল মালেক বলেন, ‘‘খোলা বাজারে ধানের দাম বাড়লে চালের দর চড়ারও আশঙ্কা থাকে।’’ চালকল মালিক থেকে ধান ব্যবসায়ীদের অনেকের দাবি, আগে ঝাড়খণ্ড, বিহার থেকে এ রাজ্যের চালকলে ধান আসত। কিন্তু এখন উত্তরাখণ্ড, ঝাড়খণ্ডে অনেক চালকল হওয়ায়, সেখানে চলে যাচ্ছে। তার জেরেও স্থানীয় স্তরে চালের দাম বেড়েছে। কৃষি আধিকারিকদের বক্তব্য, কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞায় চাল রফতানি বন্ধ। ফলে, ফলনে সামান্য হেরফের হলেও দামে বিশেষ প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy