প্রতীকী ছবি।
দু’চাকার গাড়ির ক্ষেত্রে বিশ্বের বৃহত্তম বাজার ভারত। অথচ গত কয়েক বছর ধরে এ দেশে সেগুলির বিক্রি কমছে। ফলে সঙ্কটে এই ব্যবসা। ২০১৯ সালে অর্থনীতির ঝিমুনির পরে চাহিদা বাড়ার আগেই ২০২০-তে হানা দেয় করোনা। দীর্ঘ অতিমারিকালে আরও নড়বড়ে হয়ে পড়ে দু’চাকার প্রধান বাজার, গ্রামীণ ভারত এবং বহু মফস্সল এলাকা। যেখানে বিক্রিবাটা এখনও পুরোপুরি ছন্দে ফেরেনি। উপরন্তু কাঁচামালের দাম বৃদ্ধি, দূষণ নিয়ন্ত্রণের নতুন নিয়ম-সহ নানা কারণে গাড়ির দাম বাড়ে। বিক্রেতাদের (ডিলার) দাবি, ক্রেতার আগ্রহ থাকলেও দু’চাকা কেনা অনেকেরই সাধ্যের বাইরে চলে গিয়েছে। তাই গাড়ির দাম কমাতে অন্তত করের বোঝা ছাঁটা হোক। সে জন্য তাতে জিএসটি হার ২৮% থেকে ১৮ শতাংশে নামাতে জিএসটি পরিষদের কাছে আর্জি জানিয়েছে তাঁদের সংগঠন ফাডা।
ফাডার প্রেসিডেন্ট মণীশ রাজ সিঙ্ঘানিয়ার দাবি, দু’চাকার গাড়ির ব্যবসা এক সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। চড়া মূল্যবৃদ্ধি, কড়া দূষণ বিধি এবং গ্রামীণ ভারতে অতিমারির প্রভাবের মতো অভূতপূর্ব কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে হচ্ছে এই ক্ষেত্রকে। সমাধান সূত্র হিসাবে আপাতত জিএসটি ছাঁটাইকেই উপায় হিসাবে দেখছেন তাঁরা। মণীশ বলেন, ‘‘এই গাড়িতে জিএসটি কমানোর এটাই উপযুক্ত সময়। এতে আমজনতার সাধ্যের মধ্যে আসবে সেগুলি। শিল্পেরও লাভ হবে। বাড়বে কর্মসংস্থান। সব মিলিয়ে যা আর্থিক বৃদ্ধিতে গতি আনবে।’’
জিএসটি পরিষদের চেয়ারম্যান তথা দেশের অর্থমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় ভারী শিল্পমন্ত্রক এবং সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের কাছেও ওই আর্জি পেশ করেছে তারা। ফাডার হিসাবে, ২০১৬ সালে হোন্ডার যে স্কুটারের দাম ছিল ৫২,০০০ টাকা, এ বছর তা বেড়ে হয়েছে ৮৮,০০০। একই সময়ের হিসাবে বজাজের একটি মোটরসাইকেল ৭২,০০০ টাকা থেকে ১.৫০ লক্ষ টাকা, হিরোর মোটরসাইকেল ৪৬,০০০ থেকে ৭৪,৮০১ টাকা এবং টিভিএসের স্কুটার ৪৯,০০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৮৮,৪৯৮ টাকা। তাদের মতে, এই ক্রমবর্ধমান দাম দু’চাকার গাড়ি বিক্রি কমার অন্যতম কারণ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy