ক্রেতা সরক্ষায় জোরদার করতে আসছে নতুন বিল। ছবি এএফপির সৌজন্যে।
গ্রাহকদের স্বার্থ রক্ষায় জন্য নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করল কেন্দ্র। সেই পদক্ষেপের অঙ্গ হিসাবে বৃহস্পতিবার লোকসভায় পাশ হয়েছে কনজিউমার প্রোটেকশন বিল-২০১৮। নতুন এই বিলটি ১৯৮৬ সালের বিলের খামতিগুলোকে দূর করে ক্রেতার অধিকারকে আরও সুনিশ্চিত করবে বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভায় পাশ হওয়ার পর জানুয়ারি মাসে রাজ্যসভায় উঠবে বিলটি। এই বিল পাশ হলে ক্রেতা ও ক্রেতা সুরক্ষা দফতর উভয়ের হাতেই আরও বেশি ক্ষমতা আসবে বলে দাবি সরকারের। এক ঝলকে দেখে নিন নতুন এই বিল সম্পর্কে কিছু তথ্য।
দ্য সেন্ট্রাল কনজিউমার প্রোটেকশন অথরিটি বা সিসিপিএ গঠন করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে এই নতুন বিলে। বাজারে চালু যে কোনও ধরনের অসাধু কারবার থেকে গ্রাহকদের রক্ষা করতে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার ক্ষমতা থাকবে এই অথরিটির। কোনও সংস্থার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করারও ক্ষমতা দেওয়া হবে সিসিপিএ-কে। আমেরিকার ফেডেরাল ট্রেড কমিশনের মতো করে তৈরি করা হবে এই কর্তৃপক্ষকে।
এই বিলে যুক্ত করা হচ্ছে ‘ক্লাস অ্যাকশন’-এর ধারণা। এর ফলে পণ্য প্রস্তুতকারক ও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা তাদের সকল উপভোক্তাদের প্রতি দায়বদ্ধ থাকতে বাধ্য হবে। একজন বা একদল নয় এই ক্লাস অ্যাকশন সকল ক্ষতিগ্রস্ত উপভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করবে।
আরও পড়ুন: আজ বৈঠকে নিশানায় ৯৯-ই
বর্তমান ব্যবস্থাকে খোলনলচে বদলে উপভোক্তার সমস্যার সমাধানে ত্রিস্তরীয় ব্যবস্থা গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরে ভাগ করলে তবেই এই ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী হবে।
বর্তমান ব্যবস্থায়, বিক্রেতার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে হলে বিনিময়স্থানের নিকটবর্তী আদালতে যেতে হত। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় ক্রেতা তাঁর বাড়ির নিকটবর্তী উপভোক্তা আদালত বা অনলাইনেই অভিযোগ জানাতে পারবেন।
ই-কমার্স সংস্থাগুলোও এই নতুন আইনের আওতায় পড়বে। ই-কমার্স সংস্থাগুলোকে পণ্য বিক্রির শর্ত পরিষ্কার ভাবে জানাতে হবে। ক্রেতা সম্পর্কিত তথ্যকে তারা কী ভাবে ব্যবহার করছে, তা জানাতেও বাধ্য থাকবে ই-কমার্স সংস্থাগুলি।
বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপণের জন্যও পণ্য উত্পাদনকারী ও পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যাবে এই নতুন আইনে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে দুই থেকে দশ বছর পর্যন্ত জেল ছাড়াও ১০ থেকে ৫০ লক্ষ টাকা অবধি জরিমানা দিতে হতে পারে। তারকারা এই ধরনের বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপণের সঙ্গে যুক্ত থাকলে তাঁদেরও জরিমানা হতে পারে। তবে জেল হবে না।
এর পাশাপাশি অযথা অভিযোগ করার জন্য জরিমানা হতে পারে ক্রেতারও। ভিত্তিহীন অভিযোগের জন্য গ্রাহকের ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
আরও পড়ুন: পৃথিবীতে প্রাণের উপাদান এনেছিল গ্রহাণুই, দাবি নাসার
নতুন আইন আসার পর তৃণমূলস্তরে তা কতটা কার্যকর হবে, সে উত্তর দেবে সময়। দেশের লেখাপড়া না জানা সাধারণ মানুষ ঠকলে কী ভাবে সুরাহা পান সেটাই দেখার।
(কোথায় বিনিয়োগ করবেন, কীভাবে বিনিয়োগ করবেন, কোথায় টাকা রাখবে বাঁচবে ট্যাক্স - জানতে পড়ুন আমাদেরব্যবসাবিভাগ।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy