বিশ্ব বাজারে ঢিমে চাহিদা। ক্রমাগত ধাক্কা খাচ্ছে ভারতের রফতানি। এরই মধ্যে বাজেটে বিভিন্ন রফতানি উন্নয়ন প্রকল্পের বরাদ্দ কমাল কেন্দ্র। ফলে এই শিল্পের দাবি, রফতানি সংস্থাগুলিকে ঋণের সুদে যে ভর্তুকি দেওয়া হত, সেই ‘ইন্টারেস্ট ইকুয়ালাইজ়েশন স্কিম’-এর মেয়াদ বাড়ানো হোক। যা সম্প্রতি শেষ হয়েছে।
বাজেটে বাণিজ্য মন্ত্রকের বরাদ্দ এই অর্থবর্ষের সংশোধিত বরাদ্দের (৫৬২৪ কোটি টাকা) থেকে কমে হয়েছে ৫৩০০.৯৯ কোটি। রফতানির উৎসাহ প্রকল্পগুলিতে তা ১৭% কমে ২৭১৮.৭৩ কোটি থেকে ২২৫০ কোটি টাকা হয়েছে। রফতানি সংস্থার ঋণে সুদের ভর্তুকিতে বরাদ্দের উল্লেখ নেই। রফতানির জন্য উৎপাদনে কর ফেরতের প্রকল্প ‘ডিউটি ড্রব্যাক স্কিম’-এর বরাদ্দও ২৫৮.২ কোটি থেকে নেমেছে ১৮১.৯ কোটি টাকায়। কেন্দ্রের দাবি, এগুলির বিকল্প হিসেবে ‘এক্সপোর্ট প্রোমোশন মিশন’ প্রকল্প চালু হবে। এতে সহজে ঋণদান এবং ছোট সংস্থাগুলিকে বিভিন্ন সাহায্য করা হবে। ফলে প্রশ্ন উঠছে, শুধু দেশে চাহিদা বাড়িয়ে কি আর্থিক কর্মকাণ্ডকে পুরোপুরি গতিশীল করা সম্ভব? বিশেষত কেন্দ্র যখন ভারতকে উৎপাদন এবং রফতানি তালুক করে তোলার কথা বলছে।
বণিকসভা সিআইআইয়ের রফতানি কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া বলেন, ‘‘বাজেটের কিছু পদক্ষেপ সাহায্য করবে। তবে অর্থমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ, সব শ্রেণির রফতানিকারীর জন্য ‘ইন্টারেস্ট ইকুয়ালাইজ়েশন স্কিম’ ফের চালু হোক।’’ তাদের সংগঠন ফিয়োর প্রেসিডেন্ট অশ্বনী কুমারেরও বক্তব্য, ‘‘৩১ ডিসেম্বর প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করা হোক।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)