রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। —ফাইল চিত্র।
মূল্যবৃদ্ধি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এলেও, এল নিনোর প্রভাব নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞেরা। কারণ, তার বিরূপ প্রভাবে কৃষি উৎপাদন কমলে খাবারের দাম আবার বাড়তে পারে। এক সাক্ষাৎকারে সেই ঝুঁকির কথাই ফের মনে করালেন রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস। জানালেন, তাঁরা খুচরো বাজারের মূল্যবৃদ্ধিকে ৪ শতাংশে নামাতে চেষ্টা করছেন। কিন্তু আবহাওয়া এবং আন্তর্জাতিক প্রতিকূলতা এখনও কাঁটা। ঠিক যে কারণে ঋণনীতিতে চলতি অর্থবর্ষের দ্বিতীয়ার্ধে মূল্যবৃদ্ধির হার কিছুটা বৃদ্ধির আশঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেছিলেন, প্রয়োজনে সুদ বৃদ্ধির রাস্তাও খোলা।
চড়া মূল্যবৃদ্ধিকে রুখতে লাগাতার সুদ বাড়িয়ে আপাতত থেমেছে আরবিআই। হালে খুচরো মূল্যবৃদ্ধিও নেমেছে ৪.২৫ শতাংশে। কিন্তু শক্তিকান্তের দাবি, ‘‘মূল্যবৃদ্ধির পরিস্থিতিতে ক্রমাগত নজর রেখে চলেছি। এই অর্থবর্ষে তা ৫.১% থাকতে পারে। আমরা ৪ শতাংশে নামাতে চেষ্টা করছি।’’ সফল হলে সুদের হার এবং ঋণের খরচ কমার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। তবে একই সঙ্গে তাঁর সতর্কবার্তা, সমস্যা বহাল। রাশিয়া-উইক্রেন যুদ্ধের জেরে পণ্যের দাম যে ভাবে বাড়ছিল তা নিয়ন্ত্রণে এলেও, ঝুঁকি পুরো দূর হয়নি। দেশে বর্ষার অনিশ্চয়তাও আছে। স্বাভাবিক বর্ষার প্রত্যাশা থাকলেও এল নিনোর আশঙ্কা কাটেনি। আবহাওয়া-সহ গোটা পরিস্থিতিতে লক্ষ্য রাখতে হবে।
এ দিকে, ২০০০ টাকার নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার ঘোষণার এক মাসের মধ্যে তার দুই-তৃতীয়াংশ (প্রায় ২.৪১ লক্ষ কোটি টাকা) ব্যাঙ্কে ফিরেছে বলে দাবি শক্তিকান্তের। এর মধ্যে ৮৫% সরাসরি অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। বাকিটা নোট বদল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy