প্রতীকী ছবি।
সময় মতো রোগ চিহ্নিত করা এবং উপযুক্ত ওষুধ প্রয়োগেই মে-জুন থেকে দেশের অর্থনীতিতে ‘ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ’ স্পষ্ট হচ্ছে, দাবি করল অর্থ মন্ত্রক। সম্প্রতি ঠিক যে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
করোনার হানায় সারা বিশ্বের পাশাপাশি ভারতের অর্থনীতির সঙ্কোচনও যে অবশ্যম্ভাবী, সে কথা বারবার বলেছে একাধিক সংস্থা। কেন্দ্র বা রিজার্ভ ব্যাঙ্কও তা অস্বীকার করেনি। শীর্ষ ব্যাঙ্ক বরং বলেছে, অর্থনীতিতে অতিমারি যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে, তার গভীরতা শুরুতে মাপা যায়নি। এখন যা পরিস্থিতি, তাতে অর্থনীতি সম্পর্কে পূর্বাভাস দেওয়াও সম্ভব নয়। কিন্তু সোমবার জাতীয় অর্থনীতি সম্পর্কে মাসিক রিপোর্টে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আইএমএফের পূর্বাভাসের কথা উল্লেখ করেছে অর্থ মন্ত্রক। যেখানে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতীয় অর্থনীতির ৪.৫% সঙ্কোচনের বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
তবে সেই সঙ্গে মন্ত্রক দাবি করেছে, অর্থনীতির সমস্যা মার্চেই ধরেছিল কেন্দ্র ও শীর্ষ ব্যাঙ্ক। এর পরে লকডাউনে বিপুল ধাক্কা খায় উৎপাদন ও বিক্রিবাটা। তার প্রভাব পড়ে কাজ এবং রোজগারে। ফলে দ্বিতীয় বার চোট লাগে কেনাকাটায়। কিন্তু আগে থেকেই পরিকল্পনা করায় ঠিক সময়ে করা গিয়েছে কাঠামোগত সংস্কার ও সামাজিক প্রকল্পের পদক্ষেপ। ফলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পেট্রোপণ্য, বিদ্যুতের ব্যবহার এক বছর আগের তুলনায় কমলেও, পূর্ণ লকডাউনের সময়ের তুলনায় বেড়েছে জুনে। বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন, বিদেশি মুদ্রা ভান্ডার। স্বাভাবিক গতিতে এগোচ্ছে খারিফ শস্যের উৎপাদন ও রবি শস্য কেনা। পিপিই উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে ভারত।
তাল মিলিয়ে একই দিনে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক জানিয়েছে, আইওসি, ওএনজিসি-সহ রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলি তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে ৩.৫৭ লক্ষ কোটি টাকার ৮৫৯টি প্রকল্প গড়ে তুলছে। সেগুলি বাস্তবায়িত হলে শক্তি ক্ষেত্রে ভারতের ভিত আরও মজবুত হবে। তৈরি হবে নতুন কমর্সংস্থান। বিকাশ হবে অর্থনীতির। এর মধ্যে চলতি অর্থবর্ষেই বিনিয়োগ হবে ৬০,০০০ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy