অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট বৈঠকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ছবি: পিটিআই
অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আজ দাবি করেছেন তাঁদের নানা রকম পদক্ষেপের সুফল ইতিমধ্যেই পেতে শুরু করেছে অর্থনীতি। তার ভিত মজবুত। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে। দিব্যি আসছে পরোক্ষ লগ্নি। আর আজই চলতি অর্থবর্ষে ভারতে বৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৬% থেকে কমিয়ে ৪.৬% করেছে মূল্যায়ন সংস্থা ফিচ রেটিংস। এর আগে পূর্বাভাস কমিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক, বিশ্বব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে মুডি’জ়, নমুরা, গোল্ডম্যান স্যাক্সের মতো সংস্থা। পূর্বাভাস ছেঁটেছে আইএমএফ-ও। সংশ্লিষ্ট মহলের উদ্বেগ বাড়িয়ে ও অর্থমন্ত্রীর দাবিকে প্রশ্নের মুখে ফেলে আজ দিল্লিতে বণিকসভা ফিকি-র বার্ষিক অধিবেশনে ওই হার আরও ছাঁটার বার্তা দিয়েছেন তাদের মুখ্য অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ।
গীতার আশঙ্কা, অর্থনীতির বিভিন্ন মাপকাঠিই বলছে, হাল খুব তাড়াতাড়ি শোধরাবে না। আর ফিচের দাবি, বৃদ্ধির গতি কমার অন্যতম কারণ, ব্যবসা-বাণিজ্যে ঋণ কমে আসা ও ক্রেতাদের আস্থা চোট খাওয়ায় বাজারে কেনাকাটার অভাব। যে কারণেই গত কয়েকটি ত্রৈমাসিকে বৃদ্ধি পিছলেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বরে তার হার ৪.৫% ছুঁয়ে নেমেছে ছ’বছরের তলানিতে।
ভারতের মূল্যায়ন অবশ্য অপরিবর্তিত (BBB-) রেখেছে ফিচ। অর্থনীতি সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিও রেখেছে স্থিতিশীল (স্টেবল)। বলেছে, মধ্যবর্তী মেয়াদে কাজে দিতে পারে সরকারের সংস্কার। তবে তা নির্ভর করবে সেগুলি কতটা কার্যকর হচ্ছে তার উপর।
মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও আজ আশঙ্কা প্রকাশ করেছে ব্যবসায়ী মহলের একাংশ। তাদের প্রশ্ন, খাদ্যপণ্যের চড়া দরে ভর করে যে ভাবে মূল্যবৃদ্ধি মাথা তুলছে, তাতে কী করে সুদ কমাবে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক? আর সুদ না-কমালে কী করে বাড়বে ঋণ? শিল্পের লগ্নির পথ খুলতে ও কেনাকাটা বাড়িয়ে অর্থনীতিতে প্রাণ ফেরাতে যা জরুরি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy