—ফাইল চিত্র।
রাষ্ট্রায়ত্ত স্টিল অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (সেল) কাঁচামাল সরবরাহ বিভাগ র’ মেটিরিয়াল ডিপার্টমেন্ট (আরএমডি) বিভাগটি তুলে দেওয়া হবে বলে জল্পনা চলছে বাজারে। তা সত্যি হলে সব চেয়ে বেশি সমস্যায় পড়বে পশ্চিমবঙ্গের দুই রাষ্ট্রায়ত্ত ইস্পাত সংস্থা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট (ডিএসপি) এবং ইসকো। সূত্রের খবর, আপাতত যা পরিকল্পনা রয়েছে, তাতে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশায় সেলের অন্যান্য কারখানার সঙ্গে তাদের লৌহ আকর খনিকে সংযুক্ত করা হলেও, ডিএসপি এবং ইসকোর ক্ষেত্রে তা করা হবে না। ফলে সংস্থা দু’টিকে বাজার থেকে বেশি দামে লৌহ আকর কিনতে হওয়ায় খরচ বাড়বে বহুগুণ। যার জেরে তাদের সমস্যার মুখে পড়তে হবে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের।
সেলের আরএমডি বিভাগটি ৩২
বছর ধরে কলকাতায় অবস্থিত। সংস্থার পূর্বাঞ্চলে কারখানাগুলি কাঁচামালের সমস্যায় মেটানো নিশ্চিত করতেই সেটি তৈরি করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে এর সঙ্গে যুক্ত প্রায় ৩০০ জন। বিভাগ বন্ধ হলে যাঁদের কাজ হারানোর আশঙ্কা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে ডিএসপি, ইসকো, ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং ওড়িশার রাউরকেলার ইস্পাত কারখানায় লৌহ আকর-সহ বিভিন্ন কাঁচামাল সরবরাহ করে আরএমডি। সেল সূত্রের খবর, বিভাগটি তোলা হলে তার আওতায় থাকা ১০টি লৌহ আকর খনিকে বোকারো এবং রাউরকেলা কারখানার সঙ্গে যুক্ত করা হবে। কিন্তু ডিএসপি এবং ইসকোর সঙ্গে কোনও খনিই যুক্ত করা হবে না।
সেলের এক উচ্চপদস্থ অফিসার জানান, বর্তমানে খোলা বাজারে লৌহ আকরের যে দাম চলছে, তার থেকে প্রায় পাঁচগুণ কম দামে আরএমডির কাছ থেকে তা কেনে সেলের ওই সব ইস্পাত কারখানা। আরমডি নিজেদের খনিগুলি থেকে নিজেরাই তা উত্তোলন করে। তার পরে সংমিশ্রণ করে সমান মানের লৌহ আকর কারখানাগুলিকে সরবরাহ করে বলেই দাম এতটা কম পড়ে। যে কারণে বিভাগটি বন্ধ করা হলে পূর্বাঞ্চলে সেলের অন্য কারখানাগুলি তেমন অসুবিধার মধ্যে না-পড়লেও খনি হাতে না-পাওয়ায় চূড়ান্ত সমস্যায় পড়বে ডিএসপি এবং ইসকো। কারণ, ইস্পাত উৎপাদনের কাঁচামালের ৩৫% লৌহ আকর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy