—প্রতীকী চিত্র।
সপ্তাহ শেষে কিছুটা স্বস্তি মিলল। তবে রাজ্যের অনেক জায়গাতেই বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হল না।
বৃহস্পতি ও শুক্রবার আচমকা গরমের প্রকোপ বৃদ্ধিতে বেড়েছিল বিদ্যুতের চাহিদা। কিন্তু তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিদ্যুতের পর্যাপ্ত জোগান না থাকায় রাজ্যের বহু জায়গায় দীর্ঘক্ষণ পরিষেবা ব্যাহত হয়। শনিবার সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনিক মহলের। যদিও রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার গ্রাহকদের একাংশের দাবি, এ দিনও অনেক জায়গায় পরিষেবা বিঘ্নিত হয়েছে। দু’দিনের মধ্যে সমস্যা মিটলে বণ্টন সংস্থার দফতরের সামনে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, রাজ্য বিদ্যুৎ উন্নয়ন নিগমের দু’টি কেন্দ্র রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বন্ধ। মূলত তার জেরেই এ দিন প্রায় ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কম ছিল। তবে বাকি কেন্দ্রগুলিতে কয়লার জোগান অব্যাহত রাখতে বাড়তি কয়লা পাঠানোর দাবি করেছে নিগম। অন্য দিকে, উৎপাদন ঘাটতি হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি, বাইরে (পাওয়ার এক্সচেঞ্জ) থেকে এ দিনও বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে পরিস্থিতি সামলানো হয়েছে বলে দাবি করেছে বণ্টন সংস্থা। সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে ফরাক্কায় এনটিপিসি-র একটি কেন্দ্রেও সমস্যার জন্য বণ্টন সংস্থার বিদ্যুতের জোগান ধাক্কা খায়।
রাজ্য ও বণ্টন সংস্থা ঘাটতি বা লোডশেডিংয়ের কথা মানতে নারাজ। তবে স্থানীয় সূত্রের খবর, গ্রামেগঞ্জে লোডশেডিং এবং লো-ভোল্টেজের সমস্যা চলেছে। মালদহ, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার থেকে শুরু করে এই সমস্যা ছিল মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকায়। লোডশেডিংয়ের অভিযোগের সত্যতা মেনে নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লা জানান, বিষয়টি বিদ্যুৎমন্ত্রীকে জানানো হয়েছে।
সমাজ মাধ্যমে এ দিন বন্টন সংস্থার এক নির্দেশিকা তুলে ধরে শুভেন্দুর অভিযোগ, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের দেউলিয়া সরকার পয়সার অভাবে তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লা সরবরাহ করতে পারছে না। তাই কেন্দ্রগুলি প্রয়োজনের চেয়ে উৎপাদন কমাতে বাধ্য হয়েছে।’’ বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস শুক্রবার জানিয়েছিলেন, প্রাক্-পুজো রক্ষণাবেক্ষণের কাজ এখন চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy