—প্রতীকী চিত্র।
জিএসটির উপরে ক্ষতিপূরণ সেস-এর মেয়াদ ২০২৬ সালের মার্চে শেষ হচ্ছে। তার পরে সেই সেস-এর ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়েই এখন কথা চলছে জিএসটি পরিষদের তৈরি মন্ত্রিগোষ্ঠীতে। সূত্রের খবর, মন্ত্রিগোষ্ঠীর আজকের বৈঠকে সেস-কে মূল জিএসটির অন্তর্ভুক্ত করে সংশ্লিষ্ট করের হার বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছে বেশ কিছু রাজ্য। অনেকেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, প্রয়াত প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলিও সেস-এর মেয়াদ শেষের পরে এমন পদক্ষেপের পরামর্শ দিয়েছিলেন। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে জিএসটি পরিষদের কাছে রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা মন্ত্রিগোষ্ঠীর।
২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি কার্যকর হয়েছিল। সেই সময়ে বিলাসবহুল গাড়ি, তামাকজাত পণ্য, পানমশলার মতো কয়েকটি পণ্যে সর্বোচ্চ ২৮% হারে করের উপরে সেস চাপানোর সিদ্ধান্ত হয়। যা দিয়ে মেটানো হয় রাজ্যগুলির করের ক্ষতি। প্রথমে ঠিক ছিল পাঁচ বছর তা থাকবে। কিন্তু অতিমারিতে কর আদায় তলানিতে ঠেকায় ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত সেস-এর মেয়াদ বাড়ানো হয়। তার ভবিষ্যৎ ঠিক করতেই কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধরির নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ন’টি রাজ্যের মন্ত্রীদের নিয়ে তৈরি হয়েছে বিশেষ কমিটি।
পঙ্কজের বক্তব্য, ‘‘সেস-এর ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা জরুরি। প্রতিটি রাজ্য মতামত জানিয়েছে। সেস হিসেবেই তা চালু রাখা হবে নাকি তাকে মূল জিএসটির মধ্যে ঢুকিয়ে দেওয়া হবে, আলোচনা চলছে তা নিয়ে।’’ মন্ত্রী জানান, বিলাসবহুল এবং ক্ষতিকর পণ্যের তালিকায় বদলের সম্ভাবনা সম্পর্কেও আলোচনা চলছে। তবে কোন রাজ্য এ নিয়ে কী বলেছে, সে কথা মন্ত্রী উল্লেখ করেননি। সূত্রের খবর, অধিকাংশ রাজ্যই চাইছে সেস-কে জিএসটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হোক। বদলে চালু করা হোক করের নতুন একটি স্তর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy