প্রতীকী চিত্র
করোনার মধ্যে গত বছরে বেশিরভাগ সময়টাই ঘরবন্দি থাকতে হয়েছিল মানুষকে। যার জেরে এবং পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখতে গিয়ে কেনাকাটা করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে ডিজিটাল লেনদেন। আগামী কয়েক বছরেও এই ধারা বজায় থাকবে বলে ধারণা। যার হাত ধরে ২০২৫ সালের মধ্যে ভারতে বৈদ্যুতিন লেনদেন মোট লেনদেনের ৭১.৭ শতাংশে পৌঁছবে বলে মনে করছে এসিআই ওয়ার্ল্ডওয়াইড।
বিভিন্ন সংস্থাকে লেনদেন পরিষেবাদানকারী সংস্থাটির রিপোর্ট অনুসারে, ডিজিটাল লেনদেনকে জীবনের অঙ্গ করে তোলার ক্ষেত্রে অন্যান্য দেশের চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভারত। এই ক্ষেত্রে গত বছর চিনকেও পিছনে ফেলেছে তারা। ওই সময়ে এ দেশে যেখানে ২৫৫০ কোটি বৈদ্যুতিন লেনদেন (রিয়েল টাইম পেমেন্ট) হয়েছে, চিনে সেই সংখ্যা ১৫৭০ কোটি। তার পরে রয়েছে যথাক্রমে দক্ষিণ কোরিয়া, তাইল্যান্ড এবং ব্রিটেন।
ভারতে ডিজিটাল লেনদেনে বরাবরই জোর দেওয়ার কথা বলে এসেছে মোদী সরকার। এমনকি নোট বাতিলের অন্যতম কারণ হিসেবেও এই লেনদেনকে তুলে ধরেছিল তারা। এসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট কৌশিক রায়ের মতে, সরকার, বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক, ব্যাঙ্ক এবং আর্থিক পরিষেবা ক্ষেত্রে প্রযুক্তি প্রদানকারী সংস্থাগুলির সমন্বয়ই এ ক্ষেত্রে ভারতকে অনেকটা এগোতে সাহায্য করেছে। বিশেষত, করোনার মধ্যে যে ভাবে মানুষের খরচের অভ্যাস পাল্টেছে এবং তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাঙ্ক, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ক্ষেত্রও নিজেদের বদলে নিতে পেরেছে, সেটাও ভারতের ডিজিটাল লেনদেনে সাফল্যের কারণ বলে জানিয়েছে তাঁদের রিপোর্ট।
এসিআইয়ের মতে, প্রায় একই ধারা দেখা গিয়েছে যে সমস্ত দেশে নগদের প্রচলন বেশি ছিল, সেখানেও। যেমন ব্রাজিল, মেক্সিকো, মালয়েশিয়ার মতো দেশে নগদে মানুষ বেশি সচ্ছন্দ। কিন্তু সেখানেই সব চেয়ে দ্রুত হারে মোবাইল ওয়ালেটের প্রচলন বেড়েছে গত কয়েক বছরে।
সংবাদ সংস্থা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy