মহায়্যুতির জয়ে মসৃণ ভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
শুধু জয় নয়। তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন পেয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা। মহারাষ্ট্রে মহায্যুতি জোটের এই প্রত্যাশা ছাপানো ফল স্বস্তি দিল আদানি গোষ্ঠীকে। ঠিক যখন আমেরিকার আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা নতুন করে চাপ বাড়াচ্ছে শিল্পপতি গৌতম আদানির উপরে। রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্যা, বিধানসভা ভোটের আগে উদ্ধব ঠাকরের নেতৃত্বাধীন এমভিএ জোট স্পষ্ট জানিয়েছিল, তারা ক্ষমতায় এলে ধারাভি বস্তির পুনর্গঠনের বরাত আদানিদের হাত থেকে নিয়ে এখনকার প্রকল্প বাতিল করে দেবে। বর্তমান আবহে এমন কিছু ঘটলে বিপুল চাপ বাড়ত গোষ্ঠীর কাঁধে। মহায়্যুতির জয়ে মসৃণ ভাবে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। যার ৮০% অংশীদারি রয়েছে আদানিদের হাতে। বাকিটা রাজ্য সরকারের।
অতীতে অন্তত চার বার ধারাভি পুনর্গঠন পরিকল্পনা শুরু হলেও তা বাস্তবায়িত করা যায়নি। এ দফায় ৫০৭০ কোটি টাকার দরপত্র দিয়ে বরাত জিতেছে আদানিরা। প্রস্তাবিত প্রকল্প অনুযায়ী, প্রায় ৬২০ একর জমির পুনর্গঠন করবে তারা। পুনর্বাসন হবে সাত লক্ষ বাসিন্দার। ধারাভিতে ১০ লক্ষ মানুষ থাকলেও ২০০০ সালের ১ জানুয়ারির আগে বসবাসের প্রমাণপত্র যাঁদের রয়েছে, তাঁরাই এখানে পুনর্বাসন পাওয়ার যোগ্য।
তবে বিতর্কের সূত্রপাত ২০১৮ সালের বরাত বাতিলকে কেন্দ্র করে। যা জিতেছিল সেকলিঙ্ক টেকনোলজিস নামে দুবাইয়ের গোষ্ঠী। ২০২২ সালে বরাত বাতিল করে ফের দরপত্রের প্রক্রিয়া শুরু হয়। বিরোধীদের অভিযোগ, আদানিদের স্বার্থে বরাত বাতিল করে যোগ্যতার মাপকাঠি বদল করা হয়েছে। রাজ্য সরকারের অবশ্য দাবি, করোনার পরে অর্থনীতির পরিস্থিতি বদলের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সুবিধা পাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আদানিদের দাবি, কাজ শেষ হলে তা আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও আদর্শ বস্তি পুনর্গঠন প্রকল্প হয়ে উঠবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy