—প্রতীকী ছবি।
বিশ্ব বাজারের ঝড়-ঝাপ্টা সয়েও ভারতের অর্থনীতির ভিত পোক্ত। ৮% ছাড়ানোর আর্থিক বৃদ্ধির কক্ষপথে ফেরার পাশাপাশি ব্যাঙ্কে ১২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে অনুৎপাদক সম্পদ। তবে পারিবারিক সঞ্চয়ের কমতে থাকা হার এবং বাড়তে থাকা ঋণ উদ্বেগজনক। বৃহস্পতিবার রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্কের আর্থিক স্থিতিশীলতা রিপোর্টে স্পষ্ট হল এই ছবি।
অর্থনীতি নিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই ষাণ্মাষিক রিপোর্টে আর্থিক ক্ষেত্রের সংস্থাগুলির সুষ্ঠু পরিচালনার উপরেও জোর দেওয়া হয়েছে। সতর্ক করা হয়েছে প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে। যা সংস্থা পরিচালনার দক্ষতা বাড়িয়ে ব্যবসা বৃদ্ধির হাতিয়ার হলেও, তার সঙ্গে জড়িত ঝুঁকিগুলি সামলাতে না পারলে যে কোনও সময় আর্থিক ব্যবস্থায় বড় রকমের বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে। ফলে ডিজিটাল বিপ্লবে শামিল ভারতের সামনে এই মুহূর্তে বিষয়টি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। অন্য আর এক চ্যালেঞ্জ বিশ্ব বাজার। রিপোর্টে দেশীয় অর্থনীতিতে ফিরতে থাকা চাহিদা নিয়ে ভরসার সঙ্গেই তুলে ধরা হয়েছে শ্লথ বিশ্ব বাজার, ভূ-রাজনৈতিক সঙ্কট, জোগানের সমস্যা বা দামজনিত ঝুঁকিগুলিকে।
গৃহস্থ পরিবারের সঞ্চয় কমে ঋণের বোঝা বৃদ্ধির উদ্বেগ সামনে এসেছিল আগেই। আরবিআই রিপোর্টে বলেছে, ভারতের মোট সঞ্চয়ের ৬০.৯ শতাংশই পারিবারিক। ২০১৩ থেকে ২০২২ পর্যন্ত গড়ে ছিল ৬৩.৭%। ২০২২-২৩ সালের শেষে খরচযোগ্য আয়ের নিরিখে মোট সঞ্চয় ছিল ২৯.৭%। জিডিপির নিরিখে পারিবারিক সঞ্চয় কমে হয়েছে ১৮.৪%। ২০১৩-২০২২ সালে ছিল ২০%। এ ছাড়া, ২০১৩-২০২২ সালে মোট পারিবারিক সঞ্চয়ের ৩৯.৮% ছিল নগদে। ২০২২-২৩ সালে হয়েছে ২৮.৫%। ব্যাঙ্কে টাকা রাখাও কমেছে। বহু সাধারণ মানুষ বাড়ি, সোনা, শেয়ারের মতো সম্পদে লগ্নি করছেন। যদিও তাঁদের ঋণের বোঝা বেড়েছে। ব্যাঙ্ক ঋণ নিয়ে অনেকে ভোগ্যপণ্য কিনছেন, এমনকি সম্পদে লগ্নিও করছেন। যে কারণে ব্যাঙ্কে চড়েছে খুচরো ঋণের চাহিদা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy