শিল্পকর্তা সাইরাস মিস্ত্রি। ফাইল চিত্র।
ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর তথ্য বলছে, ভারতে সড়ক দুর্ঘটনায় গত বছরে দেড় লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সেই সংখ্যা দিনে ৪২৬ জন। ঘণ্টায় ১৮। রাস্তার পরিস্থিতির পাশাপাশি পথচারি, গাড়ি চালক কিংবা যাত্রীর ত্রুটিই তার কারণ। রবিবার পথ দুর্ঘটনায় শিল্পকর্তা সাইরাস মিস্ত্রি এবং তাঁর সহযাত্রী জাহাঙ্গির পাণ্ডোলের মৃত্যু ফের উস্কে দিল সুরক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাগুলি। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী বহু ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার জন্য দুষলেন বিভিন্ন সড়ক প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনার ত্রুটিকে। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানাল, মার্সিডিজ় বেঞ্জ-এর পিছনের আসনে বসা সাইরাস ও জাহাঙ্গির সিট-বেল্ট পড়েননি। গাড়ি শিল্প সূত্রের বক্তব্য, তা না পড়লে জোরে ধাক্কার অভিঘাতে মৃত্যুর ঝুঁকি থাকেই। ফলে শুধু সুরক্ষা যন্ত্র বা বিধি থাকলেই হবে না, চালক বা যাত্রীকেও নিয়ম মানতে হবে।
পুলিশের দাবি, দুর্ঘটনার আগের ২০ কিলোমিটার পথ মাত্র ন’মিনিটে পেরিয়েছিল গাড়িটি। চালাচ্ছিলেন অনাহিতা পাণ্ডোলে। অত্যধিক গতির পাশাপাশি সিদ্ধান্ত নিতে চালকের ভুলও সম্ভবত দুর্ঘটনার কারণ। গুরুতর আহত তিনি এবং পাশে বসা তাঁর স্বামী ডারিয়াস পাণ্ডোলে।
পিছনের আসনে বসলেও সিট-বেল্ট বাঁধাই নিয়ম। গাড়ি শিল্প সূত্রের দাবি, সেটি না পড়লে এবং এয়ারব্যাগ খুলে গেলে তার অভিঘাত মারাত্মক। এয়ারব্যাগের ধাক্কা থেকে যাত্রীকে রক্ষা করে সিট-বেল্ট। এটি বাঁধা থাকলে পিছন থেকে গাড়ির ধাক্কাতেও অভিঘাত কম হওয়ার সম্ভাবনা। মিস্ত্রিরা সিট-বেল্ট না পরায় এবং গাড়ি অত্যধিক গতিতে ডিভাইডারে ধাক্কা মারায় সামনের যাত্রীদের চেয়ে তাঁদের শরীরে ধাক্কার অভিঘাত বেশি ছিল।
এখন গাড়িতে দু’টি এয়ারব্যাগ থাকে। নিতিন বাধ্যতামূলক ভাবে ছ’টি রাখার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, অক্টোবর থেকে নতুন গাড়িগুলিতে তা রাখার কথা ভাবা হলেও এ নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। একাংশের বক্তব্য, জোরে গাড়ি চালালে তাকে থামানোর দক্ষতাও থাকা জরুরি চালকের। সে ক্ষেত্রে শুধু এয়ারব্যাগ দিয়েই দুর্ঘটনা রোখা কঠিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy