Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

ক্ষতিপূরণ বাকি এখনও, মিটছে না রাজ্যের সমস্যা

করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির মন্দ-গতি অন্তত ছ’মাস চলবে।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

প্রেমাংশু চৌধুরী 
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২০ ০৩:৪৬
Share: Save:

রাজ্যগুলির দীর্ঘদিনের দাবি মেনে অবশেষে অক্টোবর-নভেম্বরের জিএসটি ক্ষতিপূরণ মিটিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তাতে অনেক রাজ্যেরই সমস্যা মিটছে না। এই অবস্থায় রাজকোষ সামাল দিতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ কয়েকটি রাজ্যের মরিয়া দাবি, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে রাজ্যের ‘কনসোলিডেটেড সিঙ্কিং ফান্ড’-এ টাকা রয়েছে। তাতে জমা সুদের অঙ্ক ব্যবহার করতে দেওয়া হোক। তাদের বক্তব্য, করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় স্বাস্থ্য খাতে বেশি খরচ করতে হচ্ছে। কিন্তু লকডাউনের জেরে আর্থিক কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকায় শুকিয়ে এসেছে রাজস্ব আয়। সে কারণেই এই আর্জি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কাছে রাজ্যের ‘কনসোলিডেটেড সিঙ্কিং ফান্ড’ অনেকটা লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো। হঠাৎ কোনও কারণে রাজ্য বাজার থেকে নেওয়া ধার শোধ করতে না পারলে, তা এই তহবিল থেকে শোধ করা হয়। পশ্চিমবঙ্গের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে জানিয়েছেন, রাজ্যের তহবিলে মোট ১০,৫৫৩ কোটি টাকা রয়েছে। এর মধ্যে আসল ৪৯৭৫ কোটি টাকা। ৫৫৭৮ কোটি টাকা সুদ। এই সুদের টাকা রাজ্যকে সঙ্কট মোকাবিলায় ব্যবহার করতে দেওয়া হোক। নির্মলাকে অমিতবাবু জানান, অর্থনীতির ঝিমুনির জেরে লকডাউনের আগে থেকেই রাজস্ব আয় কম হচ্ছিল। রাজ্য জিএসটি থেকেও আয় কমেছে। রাজ্যের মোট রাজস্ব আয়ের ৭০ শতাংশই আসে রাজ্য জিএসটি থেকে। এর পরে লকডাউন জারি হওয়ায় সঙ্কট চরমে উঠেছে।

এই অবস্থায় কেন্দ্র সম্প্রতি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে জানিয়েছে, নতুন অর্থবর্ষের প্রথম ন’মাসে রাজ্যগুলিকে ৩.২০ লক্ষ কোটি টাকা ধার নিতে দেওয়া হোক। যার ফলে পশ্চিমবঙ্গ ২০,৩৬২ কোটি টাকা ধার করতে পারবে। চাইলে এপ্রিলেই পুরো অঙ্ক ধার করে ফেলতে পারে তারা। কিন্তু তার পরে চলবে কী করে? রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের যুক্তি, ছয় মাস পরে যে ধার করতে হত, সেটাই এখন করতে হচ্ছে।

কিন্তু করোনা-সঙ্কট ও লকডাউনের ধাক্কায় অর্থনীতির মন্দ-গতি অন্তত ছ’মাস চলবে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজকোষ ঘাটতি ৩% থেকে বাড়িয়ে ৫% করার ছাড়পত্র চেয়েছেন। নির্মলার কাছে অমিতবাবুর দাবি, পুরনো ধার শোধ করতেই পশ্চিমবঙ্গের রাজকোষ খালি হয়ে যায়। তাই ঋণ শোধে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি হোক।

অন্য বিষয়গুলি:

Covid-19 GST Economy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy