প্রতীকী ছবি।
করোনা রুখতে যখন আর্থিক কর্মকাণ্ডে তালা ঝুলেছিল, তখনই দানা বেঁধেছিল আশঙ্কা। মার্চে পরিকাঠামো ক্ষেত্রগুলির উৎপাদন কমার (৬.৪৭%) হিসেব সামনে আসতে ইঙ্গিত পোক্ত হয় আরও। শেষে আশঙ্কা মিলিয়েই মঙ্গলবার সরকারি পরিসংখ্যান জানাল, মার্চে দেশের শিল্পোৎপাদন সরাসরি কমেছে ১৬.৭%। এত তলানিতে এই প্রথম। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বলছেন, এটা শুধু করোনার কামড়ে হয়নি। দীর্ঘ দিন অর্থনীতির ঝিমুনি ফলে যে ক্ষত তৈরি হয়েছিল, তা-ই আরও গভীর করেছে সব কাজ-কারবার থমকে যাওয়া। কারণ, লকডাউন শুরু হয় মার্চের শেষের দিকে।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ আনা হবে বলে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তার আগে অর্থনীতির ভয়ানক চেহারা প্রকট হয়ে যায় মার্চে কল-কারখানায় উৎপাদন ২০.৬% সঙ্কোচনের খবরে। কর্মসংস্থানে যার ভূমিকা বিরাট। দেশে চাহিদা ও লগ্নির ছবি তুলে ধরে যে মূলধনী পণ্য, তারও উৎপাদন কমেছে ৩৫.৬%। একই হাল খনন বাদে সবক’টি ক্ষেত্রের।
বিশেষজ্ঞদের একাংশের বক্তব্য, এটা ঠিক ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন শুরুর কারণে মাসের শেষ ক’দিন আর কাজ হয়নি। কিন্তু তাতে উৎপাদন এত সঙ্কুচিত হওয়ার কথা নয়। বিশেষত, হিসেব যেখানে বলছে মার্চে গাড়ি তৈরি কমেছে ৪৯.৬%, বৈদ্যুতিক যন্ত্র ৩১%, কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও অপটিক্যাল যন্ত্রাংশ প্রায় ৪২%।
আরও পড়ুন: লকডাউন বাড়ছে, ২০ লক্ষ কোটির প্যাকেজ ঘোষণা মোদীর
বিশেষজ্ঞদের ভয়, এপ্রিলে সব কাজ স্তব্ধ হয়ে থাকার জের আরও লম্বা সময় ধরে বইতে হতে পারে অর্থনীতিকে। প্রথমে তার ঝিমুনি এবং পরে তাতে করোনার ধাক্কা আরও বেশি টের পাওয়া যাবে এ মাসের শেষে জিডিপির হিসেব বেরোলে।
আরও পড়ুন: মোদীর স্বদেশি আত্মনির্ভরতার ডাকেও সংশয় অনেক
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy