প্রতীকী ছবি
পরীক্ষার মুখে পড়াশোনা করে দিব্যি পাশ করা যাবে— এমনটাই ভেবেছিল ভারতীয় রেল। ঠিক যেমন বরাবর হয়ে থাকে। কিন্তু অর্থনীতির ঝিমুনিতে এমনিতেই কমে যাওয়া পণ্য পরিবহণে কোপ পড়ল করোনার। পরিসংখ্যান জানিয়েছে, গত অর্থবর্ষে (২০১৯-২০) রেল তার আগের বছরের (২০১৮-১৯) তুলনায় প্রায় ১.৪০ কোটি টন কম পণ্য বহন করেছে। সূত্রের দাবি, গত ৪০ বছরে এ রকম ঘটেনি।
অর্থনীতির ঝিমুনিতে পণ্য পরিবহণ কমেছিল আগেই। তবু আশা ছিল মার্চে সেই ঘাটতি পুষিয়ে নেবে রেল। ফেব্রুয়ারি থেকেই তাই তারা চেষ্টা চালাচ্ছিল কয়লা, রাসায়নিক সার, সিমেন্টের মতো পণ্য পরিবহণ বাড়াতে। কিন্তু করোনা সংক্রমণ রুখতে মার্চেই শুরু হওয়া লকডাউনের জেরে শেষ পর্যন্ত তাতে কাজ হয়নি। ওয়াগনের চাহিদাও দিনে ৬০,০০০ থেকে কমে ৩৫ হাজারে ঠেকেছে।
রেল সূত্রের খবর, করোনা-আতঙ্ক ও লকডাউনের সম্ভাবনা জোরদার হতেই বাণিজ্যিক কাজকর্মে ভাটা শুরু হয়। পণ্য পরিবহণের জন্য রেলের কন্টেনার, পার্সেল-সহ সার্বিক ভাবে ওয়াগনের চাহিদা কমতে থাকে। লকডাউন শুরুর পরে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে তালা ঝোলায় বিদ্যুতের চাহিদা কমে ২০ শতাংশের বেশি। ফলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে কয়লার চাহিদাও কমে। পণ্য পরিবহণের ঘাটতি মেটাতে যে কয়লার পরিবহণ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল রেলের।
মার্চে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় ১.৮০ কোটি টন কম পণ্য বয়েছে রেল। বিদ্যুৎ ছাড়াও সিমেন্ট, রাসায়নিক, কন্টেনারজাত বহু পণ্য বহনে ছিল ভাটার টান। ট্রাকে পণ্য জোগান হালে বহু গুণ বাড়ায় সার্বিক পণ্য পরিবহণের হিসেবে রেলের আনুপাতিক হার কয়েক দশকে অনেকটা কমলেও, প্রতি বছরই রেল আগের বছরের তুলনায় বেশি পণ্য বহন করেছে। যা গত অর্থবর্ষে হয়নি। লকডাউনের সময় বিভিন্ন অত্যাবশ্যক পণ্য বহন করে সামাজিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতিও যথাসম্ভব কমিয়ে আনতে চাইছে তারা।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে আরও কিছু কাজে ছাড়
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy