প্রতীকী ছবি।
নতুন অর্থবর্ষের প্রথম দু’মাসের ঋণনীতিতে বৃদ্ধির ইঞ্জিনে জ্বালানি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক। সুদের হার অপরিবর্তিত রাখার পাশাপাশি জানিয়েছে, বাজারে পর্যাপ্ত নগদের জোগানের ব্যবস্থা করা হবে। এর ফলে অস্থির শেয়ার বাজার দু’দিনের জন্য হলেও উঠেছে। কিন্তু টাকার দামের পতন তাতে আটকানো যায়নি। এই সপ্তাহে ডলারের নিরিখে টানা চার দিন ভারতীয় মুদ্রার দাম কমে হয়েছে পাঁচ মাসের সর্বনিম্ন।
বুধবার ঋণনীতি ঘোষণার দিনেই ডলারের দাম ১০৫ টাকা বাড়ে। টাকার এই পতন ২০ মাসের বৃহত্তম। এর পরে এ দিন ডলার বাড়ে ১১ পয়সা। ফলে সোম থেকে বৃহস্পতি পর্যন্ত আমেরিকার মুদ্রাটির দাম বেড়েছে মোট ১৪৬ পয়সা। হয়েছে ৭৪.৪৭ টাকা। সংশ্লিষ্ট মহলের ব্যাখ্যা, করোনার প্রকোপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ লগ্নি থেকে পুঁজি তুলে নিচ্ছেন। যার বিরূপ প্রভাব পড়ছে টাকার দরে। শীর্ষ ব্যাঙ্কের ঋণনীতিতেও টাকার দরের অস্থিরতা কমানোর যথেষ্ট রসদ নেই।
ভিস্তা ইন্টেলিজেন্সের এমডি অরিন্দম সাহার ব্যাখ্যা, জ্বালানির দর যখন রেকর্ড উচ্চতার কাছাকাছি রয়েছে, তখন টাকার দামের এই পতন সরকারের মাথাব্যথা বাড়াবে। কারণ, এর ফলে বিদেশ থেকে অশোধিত তেলের আমদানির খরচ বাড়বে। ঠিক একই ভাবে সোনার আমদানি খরচ বেড়ে ওই ধাতুটির দামও বাড়তে পারে দেশে। তবে একই সঙ্গে অরিন্দমবাবু বলেন, ‘‘টাকার দাম কমলে লাভবান হবে রফতানি সংস্থাগুলি। বিদেশি মুদ্রায় পণ্য কিনে ভারতীয় মুদ্রায় আয় বাড়াতে পারবে তারা। বিদেশি মুদ্রার ভান্ডারও বাড়তে পারে।’’
টাকার পতন
ভাল-মন্দ
অন্য দিকে, এ দিন ৮৪.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে ৪৯,৭৪৬.২১ অঙ্কে পৌঁছেছে সেনসেক্স। নিফ্টি ৫৪.৭৫ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ১৪,৮৭৩.৮০। সপ্তাহের প্রথম দু’দিন বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি নিট পুঁজি বিক্রি করলেও বুধ (২২৭.৪২ কোটি টাকা) এবং বৃহস্পতিবার (১১০.৮৫ কোটি টাকা) ফের শেয়ার কিনেছে তারা। পাশাপাশি, আট মাস পরে মার্চে শেয়ার নির্ভর মিউচুয়াল ফান্ডে নিট ৯১১৫ কোটি টাকার লগ্নি এসেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy