প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাসের ধাক্কায় স্তব্ধ জনজীবন। লকডাউ চলছে সারা দেশে। করোনা সংক্রমণ রুখতে যাত্রী বিমান সব বন্ধ। এ অবস্থায় শহর থেকে শহরে শুধু এখন উড়ে বেড়াচ্ছে স্পাইসজেটের পাঁচটি পণ্য বিমান। টাটকা আনাজ, মাছ, ফল অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী নিয়ে শুক্রবার একটি বিমান কলকাতা থেকে বাগডোগরা থেকে দিল্লি গিয়েছে।
এর পাশাপাশি করোনাভাইরাস- এর পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার হংকং থেকে স্পাইসজেটের উড়ান কলকাতায় নিয়ে এসেছে ইনফ্রা রেড থার্মোমিটার। কারও শরীরে জ্বর রয়েছে কিনা, তা খানিকটা দূর থেকে এই যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করা হচ্ছে। কলকাতায় যে সব জরুরি পরিষেবা সংক্রান্ত দফতরগুলি খোলা রয়েছে, তাদের অনেকেই এই থার্মোমিটার ব্যবহার করছে। দূর থেকে দেখা হচ্ছে, কর্মীদের শরীরে জ্বর রয়েছে কি না। এ দিনই দিল্লি থেকে কোয়াম্বাতুরে স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ পোশাক নিয়ে উড়ে গিয়েছে স্পাইসের আরও একটি বিমান।
বৃহস্পতিবারেই হংকং থেকে আসা স্পাইসজেটের বিমানটি কলকাতা থেকে চিংড়ি মাছ নিয়ে উড়ে গিয়েছে বিশাখাপত্তনম।
এ ছাড়াও এই দিনই কলকাতা থেকে ঢাকা যাতায়াত করেছে তাদের পণ্যবাহী আর একটি বিমান। কলকাতা বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল-এর অফিসারেরা মাথার উপর দিয়ে উড়ে যাওয়া প্রায় আড়াইশো আন্তর্জাতিক বিমান ছাড়াও এই পণ্য বিমানগুলি ওঠানামা করতে সাহায্য করছেন।
স্পাইসজেট জানিয়েছে, ভারতের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও প্রধানত পশ্চিম এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পণ্য নিয়ে যাতায়াত করছে তাদের বিমানগুলি। তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর ওষুধ, চিকিৎসা সংক্রান্ত সরঞ্জামও। বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, আমদাবাদ সহ বেশ কিছু শহরে দরজায় পণ্য পৌঁছে দেওয়ার কাজও শুরু করেছে স্পাইসের পণ্য বিভাগ, স্পাইসএক্সপ্রেস। পাইলট, ইঞ্জিনিয়ার, লোডার, নিরাপত্তাকর্মীরা তার জন্য নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।
এ দিকে দুই বিমান সংস্থা, গো এয়ার এবং ইন্ডিগোর পক্ষ থেকেও কেন্দ্রীয় সরকারকে বলা হয়েছে, পণ্য ও অন্যান্য জরুরি সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার জন্য তারাও বিশেষ উড়ান চালাতে প্রস্তুত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy